কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী

Spread the love

কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী

ফারুক আহমেদ

কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিপ্লব দে (সজল)-এর উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় ২৮ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার সন্ধ্যায় কল্যাণীর ঋত্বিক সদনে। এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুভ বিজয়া সম্মিলনীর শুভ সূচনা হয়। বিজয়া উৎসব উদযাপনে উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিপ্লব দে সজলের আহ্বানে ২১ টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রতিনিধি সহ দলের সাধারণ সদস্য, কর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নদীয়া জেলার সভাপতি দেবাশিস গাঙ্গুলি ও রাজ্য ছাত্র সংগঠনের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। এদিন বেশ কিছু বিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। প্রবীণ নেতা ও কর্মীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। কল্যাণী শহরের বেশ কিছু সাধারণ মানুষকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে এদিন। কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিপ্লব দে সজলের দায়িত্ব পালনে শহরবাসী শান্তিতে বসবাস করছেন। তাঁর আন্তরিক শুভেচ্ছা প্রদান ও ব্যবহার সকলকেই মুগ্ধ করছে। প্রতিনিয়ত তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিপ্লব দে সজল তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনকে শক্তিশালী করছেন। সাধারণ মানুষকে, বিরোধীদলীয় নেতা ও কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্তিশালী করছেন তিনি। সবসময় মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে যোগ্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিপ্লব দে সজল।

বিজয়া সম্মিলনীর ইতিহাস বেশ পুরনো। পুরাণে উল্লেখ আছে, মহিষাসুর বধের পর দেবতারা মিলিত হয়ে আনন্দ উৎসব করেছিলেন। সেই থেকেই এই রীতির প্রচলন। আবার কেউ কেউ মনে করেন, রামচন্দ্র রাবণ বধের পর যে বিজয় উৎসব করেছিলেন তা থেকেই বিজয়া সম্মিলনীর সূত্রপাত।বর্তমানে বিজয়া সম্মিলনী শুধু বাংলাতেই সীমাবদ্ধ নেই। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এবং বিদেশেও বাঙালিরা এই উৎসব পালন করে থাকেন।

বিজয়া সম্মিলনীর আকর্ষণ হল এর আন্তরিকতা ও সহজ-সরল আয়োজন। বাড়িতে বা ক্লাবে সবাই মিলে গান-বাজনা, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া করে আনন্দ করাই মূল উদ্দেশ্য। কেউ কেউ আবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন। বিজয়া সম্মিলনীর অন্যতম আকর্ষণ হল খাবার। মিষ্টি মুখ করানো এই উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রসগোল্লা, সন্দেশ, মিষ্টি দই-এর পাশাপাশি লুচি-আলুর দম, বেগুনি, সিঙাড়া, কচুরি ইত্যাদি জনপ্রিয় খাবার।
পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হওয়া, গল্প-গুজব করা, খাওয়া-দাওয়া করা–এসবই মানুষকে আকর্ষণ করে। এছাড়া দুর্গাপুজোর পর মনে যে বিষণ্ণতা আসে, তা কাটিয়ে ওঠার জন্যও বিজয়া সম্মিলনী সহায়ক।
বিজয়া সম্মিলনীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর সামাজিক তাৎপর্য। এই উৎসবের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। বয়স্কদের আশীর্বাদ নেওয়া, ছোটদের স্নেহ করা–এসব মানবিক মূল্যবোধ চর্চার সুযোগ করে দেয় বিজয়া সম্মিলনী।
সামগ্রিকভাবে বলা যায়, বিজয়া সম্মিলনী শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.