অয়ন বাংলা, ওয়েবডেস্ক:- কাশ্মীর নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ । ৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যার জন্যে উপত্যকায় যাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। বিরোধীরা মূলত কংগ্রেস এর চরম বিরোধিতা করে জম্মু-কাশ্মীর যেতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়। কংগ্রেস-সিপিএম প্রতিনিধি দলকে শ্রীনগর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় সীতারাম ইয়েচুরি এবং গুলাম নবি আজাদ কাশ্মীর যেতে পারেন তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে নয়। সেই নির্দেশেই ৬ দিনের সফরে ভূস্বর্গে গিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা গুলাম নবি আজাদ। উপত্যকায় গিয়ে তাঁর অনুভূতি, কাশ্মীর ভাল নেই।
৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদার তকমা তুলে নেওয়ার পর প্রথমবার সেখানে গিয়েছেন আজাদ। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আজাদকে কাশ্মীর যাওয়ার অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। নিজের বাড়ি ফেরার পর সাংবাদিকরা যখন তাঁকে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, তখন তিনি বলেন,
“জম্মু-কাশ্মীরের অবস্থা খুবই খারাপ তা বুঝতে পারছি। তবে এখনই কিছু বলার নেই। চারদিন কাশ্মীরে কাটিয়েছি, জম্মুতে দু’দিন কাটাব। ৬ দিনের সফর শেষ করেই উপত্যকা নিয়ে যা বলার বলব। তার আগে কিছু নয়।”
তবে অল্প বিস্তর যা বলেছেন তাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি। তাঁর বক্তব্য,
“জম্মু ও কাশ্মীরে বাক-স্বাধীনতার কোনও চিহ্নই রাখেনি কেন্দ্র। এখানে থাকাকালীন উপত্যকার যে জায়গাগুলিতে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন তিনি, তার ১০% জায়গাতেও তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে তাঁর কথায় স্পষ্ট যে, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীর নিয়ে যা যা মন্তব্য করেছে তা ১০০ শতাংশই ভুল।”
সৌজন্য :- মহানগর