আজব মন্তব্য কেরল হাই কোর্টের বিচারপতির বললেন ‘ব্রাহ্মণরা দু’বার জন্মায়,তাই সব শীর্ষপদ ওদের প্রাপ্য’,

Spread the love

নিউজ ডেস্ক:- এ এক আজব যুক্তি ,এ এক আজব ঘটনা। বিচারপতির যদি এই রকম মানসিকতা হয় ,তাহলে দেশের সাধারণ মানুষ কি করবে। শাস্ত্রে আছে ব্রাহ্মণরা দ্বিজ। দু’বার তাদের জন্ম। তাই, আধুনিক সমাজের যাবতীয় সুযোগসুবিধা তাদের পাওয়া উচিত। সমস্তরকম কাজে ব্রাহ্মণদের অগ্রণী ভূমিকা থাকা উচিত। সব শীর্ষপদ ব্রাহ্মণদের পাওয়া উচিত। না, কোনও ধর্মগুরু বা তথাকথিত উগ্র হিন্দুত্ববাদী আইকন একথা বলছেন না। একথা বলছেন কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি ভি চিতাম্বরেশ। যিনি সুশিক্ষিত এবং দীর্ঘদিন ধরে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। সাংবিধানিক পদে থেকেও প্রকাশ্যে কার্যত বর্ণবাদকে উসকে দিলেন তিনি। যা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে কেরলে।

এরপর সাধারণ মানুষ কি ভাববে ।তাদের মানসিকতা কি হবে।এমনিতেই দেশের শীর্ষ পদগুলির বেশীর ভাগই ব্রাহ্মণ দের দখলে। রাম রাজত্ব গল্প আর এস এসের এজেন্ডা যদি যদি একজন বিচারপতির মুখে প্রকাশ পায় তাহলে দেশ কোন পথে যাবে।

ঘটনাটি গত শুক্রবারের। গোটা বিশ্বের তামিল ব্রাহ্মণদের একত্রিত করে আয়োজিত হওয়া এক বৈঠকে বক্তব্য রাখছিলেন বিচারপতি ভি চিতাম্বরেশ। সেখানে ব্রাহ্মণ সমাজের যাবতীয় গুণগান কীর্তন করেন তিনি। তিনি বলেন, “ব্রাহ্মণ কে?, ব্রাহ্মণ মানে একজন দ্বিজ, যার দু’বার জন্ম হয়। পূর্বজন্মের পূণ্যের ফলে দু’বার জন্মানোর সুযোগ পান ব্রাহ্মণরা। একজন ব্রাহ্মণের চরিত্রের বেশ কিছু গুণ আছে। পরিচ্ছন্নতা, উচ্ছাকাঙ্ক্ষা, দৃঢ় চরিত্র, মূলত নিরামিষাশী। একজন ব্রাহ্মণের মধ্যে সেই সব গুণ থাকে যা একজনের মধ্যে থাকা সম্ভব।” বিচারপতি চিতাম্বরেশ বলেন, “কোনওভাবেই ব্রাহ্মণ সমাজের কাউকে কেউ অবহেলা করলে রুখে দাঁড়ান। প্রতিবাদ করুন। আমি একটি সাংবিধানিক পদে আছি, তাই এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারি না। তবে, জাতি বা ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করে কাউকে অবহেলা করার মানে হয় না। ধর্ম বা জাতির ভিত্তিতে সংরক্ষণও ঠিক নয়। “

তিনি আরও বলেন, ‘একজন ব্রাহ্মণ কখনও জাতিবাদে বিশ্বাস করে না। সে অহিংসাবাদী হয়। সমস্ত ভাল কাজে সে মুক্তহস্তে দান করে। সব কিছু ভাল করে খতিয়ে দেখে। তাই সব কাজের মাথায় ব্রাহ্মণদেরই থাকা উচিত।’ তামিল ব্রাহ্মণদের সম্মেলনের মতো ব্রাহ্মণ সম্মেলনও নিয়মিত করা উচিত যাতে ব্রাহ্মণরা নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন, মত কেরল হাই কোর্টের এই বিচারপতির। তাঁর,এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। সাংবিধানিক পদে থেকে কীভাবে জাতিবাদকে উসকে দিচ্ছেন তিনি, প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।

এই নিয়ে উঠেছে বির্তকের ঝড় ।বুদ্ধিজীবিরা করছে সমালোচনা।

সৌজন্য:- সংবাদ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.