ব্যবসায়ীকে কিডন্যাপ Republic বাংলার সাংবাদিকের CBI সেজে , R বাংলার গাড়ি ও ড্রাইভার আটক

Spread the love

CBI সেজে ব্যবসায়ীকে কিডন্যাপ বিজেপি ঘনিষ্ঠ Republic বাংলার সাংবাদিকের, R বাংলার গাড়ি ও ড্রাইভার আটক

CBI সেজে ব্যবসায়ীকে কিডন্যাপ বিজেপি ঘনিষ্ঠ Republic বাংলার সাংবাদিকের, R বাংলার গাড়ি ও ড্রাইভার আটক ,

ব্যবসায়ীকে কিডন্যাপ Republic বাংলার সাংবাদিকের CBI সেজে , R বাংলার গাড়ি ও ড্রাইভার আটক

বিতস্তা সেন  ও  অর্ণব আইচ: – সিবিআইয়ের (CBI) ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ। পুলিশের জালে ‘রিপাবলিক বাংলা’র রিপোর্টার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ওই সাংবাদিককে সাসপেন্ড করেছে চ্যানেল। ‘রিপাবলিক বাংলা’র তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি চ্যানেলের স্থায়ী কর্মী ছিলেন না।

রিপাবলিক বাংলার রিপোর্টার নিজের অফিসের গাড়ি এবং ড্রাইভার নিয়ে অপহরণ করল কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে। অভিষেক সেনগুপ্ত নামে রিপাবলিক বাংলার ওই সাংবাদিক এখন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পলাতক হলেও ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীকে কিডন্যাপ করার সময় ব্যবহৃত রিপাবলিক বাংলার গাড়ি এবং ড্রাইভারকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। জানা গিয়েছে, অজিত রায় নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন অভিযুক্ত সাংবাদিক অভিষেক সেনগুপ্তের দুই সাগরেদ স্বরূপ রায় ও প্রতীক সরকার। সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নাম করে জোর পূর্বক নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ সিবিআই দপ্তরের নিচে বসিয়ে রাখা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক সেজে অজিত রায়ের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক সেনগুপ্ত। ঝামেলা মীমাংসা করার জন্য ১ কোটি টাকা দাবি করেন বলেও অভিযোগ। অবশেষে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হন ওই ব্যবসায়ী।  টাকা দেওয়ার পর সন্দেহ হয় অজিতবাবুর। এরপরই গোটা বিষয়টি কসবা থানায় জানান তিনি।

তবে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে হঠাৎ করে. শুধুমাত্র বিজেপির প্রচার করার জন্য অর্ণব গোস্বামীর নেতৃত্বে বাংলায় রিপাবলিক বাংলা কাজ শুরু করার  পর থেকে আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এভাবেই ব্ল্যাকমেইল করে অথবা কেন্দ্র করে টাকা আদায় করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।

 

অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমেই স্বরূপ ও প্রতীককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  বুধবার সাংবাদিক অভিষেক সেনগুপ্তকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ‘রিপাবলিক টিভি’র তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই সাংবাদিক স্থায়ী কর্মী ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঠিক কত টাকা লুঠ করেছে ওই চক্র? কতদিন ধরে এই চক্র চালানো হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.