ওয়েবডেস্ক:- আমেরিকার অথনীতি কজরমশ কঠিন বাস্তবের সামনে ,দাড়িয়ে ।এক অসহায় করুন বাস্তব। করোনাভাইরাসের জেরে বেহাল গোটা বিশ্ব। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। শুধু মৃত্যু ও আক্রান্ত নয়, এই ভাইরাস কার্যত ভেঙে দিয়েছে বিশ্বের অর্থনীতি। তারই এক ভয়াবহ রূপ ধরা পরল বিশ্বের শক্তিশালী দেশ আমেরিকাতে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দাবি করোনা ভাইরাসের জেরে ভয়াবহ রূপে বেড়েছে আমেরিকার বেকারত্বের সংখ্যা। একের পর এক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাইয়ের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেকারত্বের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ।
সম্প্রতি আমেরিকার শ্রমদপ্তরের তরফ যে পরিসংখ্যান তুলে আনা হয়েছে তা রীতিমতো চিন্তার। দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র মার্চ মাসে আমেরিকায় কর্মহীন হয়েছেন সাত লক্ষ এক হাজার মানুষ। আর এই বিপুলসংখ্যক বেকারত্বের পেছনে মূল কারণ হিসেবে আঙুল তোলা হয়েছে করোনাভাইরাস এর দিকে। পরিস্থিতি যা তাতে সরকারের অনুমান এপ্রিল মাসে এই সংখ্যাটা আরও ব্যাপকভাবে বাড়বে। এমন পরিস্থিতি যে তৈরি হতে পারে আশঙ্কা করে করোনার চরম অবস্থাতেও আমেরিকাতে লকডাউন জারি করেনি সরকার। তা সত্ত্বেও শিল্পপ্রতিষ্ঠান গুলিতে ছাঁটাইয়ের সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। একদিকে বাড়তে থাকা করোনা ও অন্যদিকে ধ্বংসের মুখে পড়া দেশের অর্থনীতি, কিভাবে অবস্থা সামাল দেওয়া সম্ভব তা ভেবে কূল পাচ্ছে না ট্রাম্প সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে হাইড্রক্সিকুইনোলিন ট্যাবলেট চেয়ে পাঠিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাতেও কতটা কি সম্ভব তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বের মধ্যে করোন ভাইরাসের জেরে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি আমেরিকার। শেষ পাওয়া খবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৬৩৭। নতুন করে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪০ জন। পাশাপাশি এখানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৮ হাজার ৪৫৪।