করোনা ছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কোনও রোগের চিকিৎসা কার্যত: অসম্ভব, হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বাঁচলেন অন্য রোগের রোগী
পরিমল কর্মকার ,কোলকাতা:- কয়েকদিন আগে কেওড়াপুকুরে নিজের বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় ও হাতে চোট পান অনিমেষ জানা এক ব্যক্তি। ব্যাথা না কমায় ওই ব্যক্তি গত শনিবার টালিগঞ্জে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে গেলে তাকে করোনা সংক্রান্ত টেস্টের জন্য রেফার করা হয বলে অভিযোগ। ভয়তে হাসপাতাল থেকে কোনও ক্রমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। অভিযোগ, এরাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা ছাড়া অন্য কোনও রোগের চিকিৎসা কার্যত: অসম্ভব বলেই মনে করছেন অধিকাংশ মানুষ।।
প্রসঙ্গত: কেওড়াপুকুরের বাসিন্দা অনিমেষ জানা (৪৩) গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় ও হাতে চোট পান। পরিবারের লোকেরা তাকে বারংবার হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি যাননি। তার আশঙ্কা হাসপাতালে গেলেই নাকি “করোনা” কেসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু মাথার ব্যাথা না কমায়, উপরন্তু মাথা ঘোরা ও বমির উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বাধ্য হয়ে গত শনিবার (২ মে) তিনি টালিগঞ্জে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে যান। অভিযোগ, আউটডোর বিভাগে তাকে দেখার পর তাকে করোনা সংক্রান্ত টেস্টের জন্য রেফার করা হয়। তার আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে দেখে তিনি টয়লেটে যাওয়ার অজুহাতে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
এই প্রতিবেদককে (এই সাংবাদিককে) তার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই চমকে উঠছিলেন অনিমেষ বাবু। বাড়িতে ফিরেও করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেন নি তিনি। কথা বলতে গিয়ে বার বারই এই প্রতিবেদককে জিজ্ঞাসা করছিলেন “করোনা কেসে ধরে নিয়ে যাবে না তো ?” তার স্ত্রী রমা জানা ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, “করোনা ছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কোনও রোগের চিকিৎসা কার্যত: অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে।”
অনিমেষ বাবুর প্রতিবেশী সুনীল মণ্ডল বললেন, সাধারণ সর্দি,কাশি থেকে শুরু করে অন্যান্য রোগের রোগীকেও “করোনা স্ট্যাম্প” লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে এগুলো ঠিক হচ্ছেনা। যার ফলে অন্য কোনও রোগের রোগীরাও হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছেন। যার ফলে গুরুতর অসুস্থ রোগীরা চিকিৎসার অভাবে বাড়িতেই মারা যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।