প্রবীণ নাগরিকদের জন্য “সাঁঝের সাথী” পরিষেবা চালু করল কৃষ্ণনগর পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট
সমীর দাস. নদীয়া :-একসময় একজন সদা কর্মচঞ্চল সারাদিন নিজের শরীরের খেয়াল না রেখেই পরিবার সদস্যদের ভালো রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমের উপার্জন করেছেন! এটিএম মেশিনরুপি সেই মানুষটাই আজ বৃদ্ধ।অন্যজন নিজের কোন সুপ্তপ্রতিভাও বিকাশ ঘটাতে পারেননি সন্তানসন্ত্রতির ভবিষ্যতের কথা ভেবে, সাজগোজ সখ আহ্লাদ সমস্তটাই জলাঞ্জলি দিয়েছেন! সংসারের সুখের জন্য। অবশ্য তখন তিনি ছিলেন রমণী আজ হয়েছেন বৃদ্ধা।
দুজনের এই আত্মত্যাগে যারা আজ সামাজিক অর্থনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত! তাদের কি মনে পড়ে! ছোটবেলার কথা? যদি পড়তই তাহলে হয়তো আজ ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠত না বৃদ্ধাশ্রম!
এইতো কদিন আগে পয়লা অক্টোবর গান্ধীজীর জন্মদিনে ঠিক আগের দিন সাদা চুল ,বয়সের ভারে জর্জরিত চামড়া, হাতে লাঠি নিয়ে অথবা বছরের-পর-বছর বিছানায় অসুস্থতার কারণে শুয়ে থাকা প্রবীনদের জন্য উৎসর্গীকৃত “বিশ্ব প্রবীণ দিবস” পালিত হলো ! অবশ্য সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায়! বাস্তবে? হয়তো সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র।
এইরকমই বেশকিছু প্রবীনদের জন্য কৃষ্ণনগর পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের এসপি জাফর আজমল কিদোয়াই চালু করলেন “সাঁঝের সাথী” প্রশাসনিক পরিষেবা। এর আগেও অবশ্য এসপি অর্ণব ঘোষ বেশ কিছু বছর আগে উদ্যোগ নিয়েছিলেন নদীয়া জেলা ব্যাপী শহরতলী কয়েকটি এলাকার জন্য। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় বাড়িতে সম্পূর্ণএকা থাকাবৃদ্ধ-বৃদ্ধা অথবা যেকোনো একজনের ক্ষেত্রেও মিলবে এই পরিষেবা। কৃষ্ণনগর পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের এলাকাভুক্ত এ ধরনের প্রবীনদের ফোন নাম্বার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ঠিকানার পূর্ণ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের মোবাইলেও দমকল, হাসপাতাল, স্থানীয় থানা, ঔষধের দোকান, মুদি দোকান ,অ্যাম্বুলেন্সের
মতো জরুরী পরিষেবার গুরুত্বপূর্ণ নাম্বারটি সেভ করে দেওয়া হচ্ছে। আজ কৃষ্ণনগর প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত এ ধরনের প্রায় একশ কুড়িজন প্রবীণদের সংবর্ধিত করা সহ সমস্ত রকম প্রশাসনিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। সমগ্র পরিকল্পনাটি সবিস্তারে উপস্থাপিত করেন অ্যাডিশনাল এসপি বিদিশা কালিতা।