নিউজ ডেস্ক ,অয়ন বাংলা:- সতীশ সামন্ত কংগ্রেস ছেড়ে বাংলা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এই জেলায় সেই অর্থে কংগ্রেসের কোনো বড় নেতা ছিলেন না । বিশেষ করে শিশির অধিকারী ও তার পুত্র তৃণমূলে চলে যাওয়ার পরেই এই জেলায় কংগ্রেস নেতৃত্বহীনতায় ভুগছিল । শেষ পর্যন্ত লক্ষ্মণ শেঠ বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ফলে জেলাতে কংগ্রেসের শক্তি বেশ খানিকটা বেড়ে গেল ।
বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে লক্ষণ শেঠের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লক্ষণ শেঠ এবার হাত প্রতীকেই প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে । এক সময়কার দোদন্ডপ্রতাপ বাম নেতার কংগ্রেসে যোগদার নিঃসন্দেহে সোমেন মিত্রের নেতৃত্বের মাইলেজকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিল বলে রাজনৈতিক মহর মনে করছেন । আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লক্ষণ শেঠ যদি বিজেপির চেয়ে বেশি ভোট পাই তাহলে অবশ্যই এই জেলায় কংগ্রেসের শক্তি বাড়বে । এদিন লক্ষণ শেঠ প্রায় তিন হাজার কর্মী নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে।
উল্লেখ্য ,প্রভাবশালী সিপিআইএম নেতা এক সময়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি-তে৷ লক্ষণ শেঠকে দলে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে মতান্তর ছিল৷ এদিকে লক্ষণ শেঠকে একবার নেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পরওে আবদুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্যে আপত্তিতে তাকে দলে নিতে পারেননি সোমেন মিত্র । কিন্ত তিনি কথা দিয়েছিলেন লক্ষণকে কংগ্রেসে নিয়ে আসবেন । শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হল । এতে সোমেন মিত্রের নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকটাই বেড়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন ।
বৃহস্পতিবার বিধান ভবনে সাংবাদিকদের প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রই জানান, লক্ষ্মণকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে সবুজসঙ্কেত দিয়েছেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী। লক্ষ্মণের যোগদানে দল শক্তিশালী হবে বলে দাবি করে সোমেন বলেন, ‘বিজেপির সাম্প্রদায়িকতা ও তৃণমূলের সন্ত্রাস-দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অনেক এগোতে পারব।’
লক্ষণ শেঠের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ নন্দীগ্রাম গণহত্যার জন্য । তাঁকে মূলত দায়ী করা হয়ে থাকে । আজ কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লক্ষণ শেঠ বলেন , নন্দীগ্রাম গণহত্যায় আমার কোনো হাত ছিল না । পার্টি সিদ্ধান্ত অনুসারে আমি অনেক আগেই নন্দীগ্রামের ইস্যুতে কোনো ভূমিকা নিচ্ছিলাম না । তাই নন্দীগ্রামে যা হয়েছে তার নেপথ্যে বুদ্ধদেবই ছিলেন বলে লক্ষণের দাবি ।”এক কথায় লক্ষণ শেঠের যোগদান পূর্ব মেদিনীপুরে কংগ্রেসের হাত কে আরো শক্তিশালী করল।