ডেস্ক:- 9 মাসের অপেক্ষার শেষে মাত্র 5 ঘণ্টার অবহেলাতে শেষ 26 বছরের জীবন।
জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা শতাব্দী দত্তের লেবার পেন ওঠায় লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে গতকাল ভোর রাতে (3:50) ভর্তি হন, পরিবারের তরফে জানা যায় গাইনকলোজিস্ট ডা. সাহা কে ইমারজেন্সি কল দেওয়া সত্ত্বেও আসেননি, একজন ডিউটিরত স্টাফ শুধু ইনজেকশন ও স্যালাইন চালু করেন,
রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকলে একাধিকবার ডাক্তার এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়।
প্রায় 5 ঘন্টা পর ডাক্তার বাবু একজনের বাইকে চেপে হাসপাতালে আসেন ও প্রশ্নের উত্তরে জানান তিনি নার্সিংহোম থেকে আসছেন, 9:20 নাগাদ জানানো হয় প্রসূতি মারা গেছেন।
হসপিটাল চত্বরে সমস্ত সাধারণ মানুষ ডাক্তার এর এই অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ফুঁসে ওঠেন, ডিউটি ছেড়ে প্রাইভেট এ রুগী দেখার যে তৎপরতা ডাক্তারদের মধ্যে দেখা যায় তা সরকারি হসপিটালে এলেই যে কোন মন্ত্রবলে উধাও হয়ে যায় – দেবা জানন্তী!
দুএকদিন একটু হইচই, ফেসবুক, ভাইরাল, ক্ষোভ তারপর আবার উত্তাল ঢেউ শান্ত হয়ে আসবে, আমরা সকলেই বেশ সুন্দর মানিয়ে নেবো সিস্টেম এর সঙ্গে আর ভেতরের না পাওয়া গুলো জমবে আবার প্রিয়জনের মৃত্যুর অপেক্ষায়, প্রিয়জনের থেকে প্রয়োজন এর ক্ষমতা বেশি বলেই আমরা সিস্টেম এর দাস হতে পছন্দ করি।
প্রকৃত সমাজ কে কতটা পাল্টাতে উদ্যোগী আমরা ??
সমাজ বন্ধু নাকি ডাক্তার !!!
এরা নরাধম , টাকার বিছানায় শুতে শুতে মানুষকে মৃত্যু শয্যায় শুইয়ে দিতে একবারও ভাবে না ।
এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার , দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি না উঠলে কত অসহায় বোন ,দিদি হারিয়ে যাবে এভাবেই ।
আওয়াজ তুলুন , কিছু ই কি করা সম্ভব নয় ??????
–
সৌজন্যে- Sir Rana Pandey