অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:- আজ গোটা দেশ জুড়ে গেরুয়া ঝড়ের দাপট চলছে । এরই মাঝে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবি রা সমানে মোদিজীর অযোগ্যতা নিয়ে লিখে চলেছ। নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে এক নম্বর ভ্রষ্টাচারী বলে মন্তব্য করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এর জেরে তাঁর নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৭ জন অধ্যাপক। ওই বিবৃতিতে রাজীবকে নিয়ে নমোর মন্তব্য অপমানজনক ও মিথ্যে বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।রাফালে চুক্তির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি অনিল আম্বানিকে অন্যায়ভাবে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করছিলেন রাহুল গান্ধী। “চৌকিদার চোর হ্যায়‘ বলে স্লোগানও তুলছিলেন। এতদিন এই বিষয়ে চুপচাপ থাকলেও শনিবার যেন নরেন্দ্র মোদির ধৈর্যচ্যুতি হয়! কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধীকেই অপমান করে বসেন তিনি। বলেন, “তোমার বাবাকে ‘মিস্টার ক্লিন’ হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরেছিলেন তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু, তাঁর জীবন শেষ হয় এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে।”এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে সোমবার রাতে একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৭ জন অধ্যাপক। তাঁদের কথায়, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধী দেশের সেবা করতে গিয়ে নিজের প্রাণ দিয়েছেন। গোটা দেশের মানুষ তা খুব ভাল করে জানেন। কিন্তু, তাঁর মতো মানুষের নামে অসত্য ও অপমানজনক মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি এতটাই নিচে নেমেছেন যা আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী নামেননি। আজ ভারত যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তার পিছনে রাজীব গান্ধীর ভূমিকা কখনই অস্বীকার করা যাবে না। কারগিল থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর পর রাজীব গান্ধীর জয়ধ্বনিই দিয়েছিলেন সৈনিকরা। মৃত্যুর একযুগ পর তাঁর জয়ধ্বনি করার মূল কারণ ছিল বোফর্স ভারতে আনার পিছনে রাজীব গান্ধীর দূরদর্শিতা।এমনকী প্রতিবছর দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি প্রতিবছর যে বিদেশি টাকা রোজগার করে তার পিছনেও রাজীব গান্ধীর অবদান আছে বলে উল্লেখ আছে বিবৃতিতে। পাশাপাশি আজ দেশের টেলিকম সেক্টরে যে বিপ্লব এসেছে তা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা ও নীতির জন্যই সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।এই বিবৃতিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি আদিত্য নারায়ণ মিশ্র, বর্তমান সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই এগজিকিউটিভ কাউন্সিল সদস্য-সহ মোট ২০৭ জনের সই রয়েছে। যদিও বিবৃতিতে নাম থাকা দুজন অধ্যাপক সই করেননি বলেই পরে একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধির কাছে দাবি করেছেন। আজ সত্যিই এক অশনি সংকেত।