সদাসর্বদা মানুষের সাথে এবং মানুষের পাশে পতাকা শিল্পগোষ্ঠী ও আল আলাম মিশন ।
নিজস্ব সংবাদদাতা .অয়ন বাংলা, জলঙ্গী :- পৃথিবী আজ নীরব। গোটা পৃথিবী থর থর করে কাঁপছে করোনার ভয়ে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ গুলির পাশাপাশি ভারতবর্ষ জুড়েও চলছে লকডাউন । এই লকডাউন চলাকালীন সবচেয়ে বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর নদী ভাঙন এলাকার কয়েক হাজার গরীব দুস্থ পরিবারকে। তাদের চোখে ফুটে উঠেছে যন্ত্রণার ছাপ। তারা নীরবেই কেঁদে চলেছে দিনের পর দিন। অভাবের তাড়ানায় পরিবারের কেউ না কেউ বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলো দু মুঠো ভাতের জন্য। কেউ দিল্লী কেউ মুম্বাই কেউ কেরল আবার কেউবা গুজরাট। শুধু চাই দু মুঠো ভাত। বাড়িতে রেখে গিয়েছিল প্রিয়তমা স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ পিতা মাতাকে। সবই ঠিক ছিলো, কিন্তু হঠাৎ করেই পৃথিবীর বুকে নেমে আসলো একটি কালো ছায়া। আর সেই ছায়ার একটি অংশ ভারতবর্ষের বুকে আছড়ে পড়লো৷ সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়তে হলো গরিব দিন দুখী পরিযায়ী শ্রমিকদের। বিদেশে আটকে যাওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ভয়ংকর অসুবিধায় মধ্যে পড়েছেন, কেননা তারা বাড়ি ফিরে আসতে পারেনি । এর ফলে তাদের পরিবারেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বৃদ্ধ মা বাবা সন্তানাদি কি করে খাবে, কি করে বাঁচবে, আর এই রকম ভাবে কতদিনবা চলবে। এমত অবস্থায় সেই সব হতভাগা পরিবারদের পাশে এসে দাড়িয়ে তাদেরকে বিভিন্ন রকম খাদ্য সামগ্রী, হ্যান্ড সানিটাইজার ও মাস্ক তুলে দিলেন পতাকা শিল্পগোষ্ঠী ও আল আলাম মিশন৷ বরাবরের মতো যে কোন সমস্যায় পতাকা শিল্পগোষ্ঠী ও আল আলাম মিশন সদা সর্বদা মানুষের সাথে এবং মানুষের পাশে।
জেলার অন্যতম সীমান্ত হলো জলঙ্গী। এই বর্ডার সীমান্তে যারা বসবাস করেন, তাদের খুবই কষ্ট । বন্যা হলেই পদ্মা নদীর গ্রাস । তবুও চোখ বুজে ঘুম পাড়ার স্বপ্ন দেখে সীমান্তের মানুষেরা। নদী ভাঙন এলাকা হিসেবেই পরিচিত এই জলঙ্গী সীমান্ত। দয়রামপুর গ্রাম থেকে তাকালে দেখা যায় ওপারের আলো। একই বাতাস, একই আলো, একই হাওয়া শুধু তফাত কাটা তারের। এই ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গরীব দুস্থদের হাতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিলেন আল আলাম মিশনের ডিরেক্টর মাহবুব মুর্শিদ । পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর দেওয়া এই খাদ্য সামগ্রী দয়রামপুরের ভাঙন কবলিত এলাকার গরীব দুস্থদের হাতে তুলে দিলেন জলঙ্গীর বিশিষ্ট শিক্ষক কুদ্দুস আলী মহাশয় সহ এলাকার সচেতনশীল মানুষেরা।
আল আলাম মিশনের ডিরেক্টর বিশিষ্ট সমাজসেবী মাহবুব মুর্শিদ বলেন, মোস্তাক হোসেনের মতো মানুষ এ বাংলায় আছে বলেই তারই দানে আমরা এই খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পারছি গরীব মানুষদের হাতে। পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর দেওয়া এই খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, এবং সাবান।
পতাকা ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার শিল্পপতি দানবীর আলহাজ্ব মোস্তাক হোসেন জানিয়েছেন সরকারি নির্দেশিকা মেনে সামাজিক দূরত্ব রেখে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে বিতরণের কাজ চলছে । মানুষকে বাড়ির মধ্যে রেখেই খাদ্য সামগ্রী এক এক করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন যতদিন থাকবে, ততদিন পতাকা শিল্পগোষ্ঠী যতটা সম্ভব গরীব মানুষদের কাছে খাবার পৌছে দেবে এবং তাদের পাশে দাঁড়াবে ।