নিউজ ডেস্ক:- রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১৪,৭২৮ জন, মৃতের সংখ্যা ৫৮০। রাজ্যে মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৯,২১৮ জন
করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। বুধবার নবান্ন সভাঘরে সর্বদলীয় বৈঠকে পারস্পরিক আলোচনায় ঐকমত্যে এসেই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন তিনি বৈঠকের পরে জানান, ‘পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, প্রয়োজবীয় পদক্ষেপ হিসাবে আমরা সব দলের প্রতিনিধিরা আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে এসেছি। রাজ্যে লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে। তবে যেগুলিতে ছাড় দেওয়া রয়েছে আগের মতো সেগুলি তেমনই থাকবে। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।’
রাজ্যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ। ৩০ জুন শেষ হচ্ছে চলতি লকডাউনের মেয়াদ। এই লকডাউনের আওতায় পড়বে রাজ্যের স্কুল, কলেজগুলি। বুধবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠকের পর জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই বর্ধিত লক়ডাউনে চলবে না ট্রেন বা মেট্রো। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১৪,৭২৮ জন, মৃতের সংখ্যা ৫৮০। রাজ্যে মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৯,২১৮ জন। এর আগে রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন তিনি। এখন রাজ্যের শুধুমাত্র আক্রান্ত জায়গাগুলিতেই রয়েছে। করোনা আক্রান্ত নন, এমন রোগীদের আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিন।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার মধ্যেও রাজ্যে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শপিং মল রেস্তরাঁ খুলে দেওয়ার অনুমতি দেয় রাজ্য সরকার। বাস-ট্যাক্সি-ফেরি পরিষেবাও চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে লোকাল ট্রেন-মেট্রো রেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিনও সেই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সেটা যাতে সমাধান হয় সেই ব্যবস্থা করছে সরকার। লকডাউন নিয়ে অনেকের অনেক মতামত ছিল। কেউ বলেছেন, আরও কড়া লকডাউন করা হোক। কেউ বলেছেন, চারদিনের মাথায় কেন প্রথমে লকডাউন করা হয়েছিল। সবটাই শুনেছি। তবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে ঐকমত্যে এসেছি আমরা।’
তবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত একথা তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলি পূর্ব নির্ধারিত দিনেই হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগে যে যে ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল সেগুলি চলবে। তবে কোনও পরিবর্তন হলে সেটা পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
লোকাল ট্রেন চলার সম্ভাবনা খুবই কম ।
সমস্ত রাজনৈতিক দল ঐক্যমত হয়েছে যে, হাসপাতালগুলিতে করোনা নন, এমন রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান প্রয়োজন এবং সেক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও যুক্ত করা দরকার বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।