লকডাউনে মধ্যবিত্তদেরও বিনামুল্যে রেশন ও ত্রাণ সাহায্য দিতে হচ্ছে। একি আসন্ন দুর্ভিক্ষের কোনও অশনি সঙ্কেত !
পরিমল কর্মকার.কোলকাতা :- টানা দীর্ঘদিন লকডাউনের বন্ধে সাধারণ মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। কারণ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই ঘোষণা করেছে মধ্যবিত্তকেও রেশনে বিনামূল্যে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। মে মাসের শুরু থেকেই রাজ্যের প্রতিটা রেশন দোকানেই বিনামুল্যে চাল দেওয়ার এই বিপণন ব্যাবস্থা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। একি দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস নাকি কোনও অশনি সঙ্কেত !
উল্লেখ্য, এই লকডাউনের আগেও যেখানে রেশন দোকানগুলো খদ্দেরের অভাবে খাঁ খাঁ করতো সেই রেশন দোকানগুলোতে এখন বিনা পয়সায় চাল নেওয়ার জন্য হিড়িক পড়ে গিয়েছে। সরকারি নির্দেশ কার্যকর হওয়ার শুরুর দিন অর্থাৎ ১ মে থেকেই খদ্দেরের ভিড়ে ঠাসা রাজ্যের প্রতিটা রেশন দোকান। একি কোনও দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস নাকি কোনও অশনি সঙ্কেত !
কোনও রেশন দোকান থেকে যদি কোনো রেশন গ্রাহককে একবারে মাথাপিছু ৫ কেজি চাল দিতে দ্বিধা বা কুণ্ঠা বোধ করা হয়, তবে সেখানে তৈরি হচ্ছে বাকবিতন্ডা আর খণ্ডযুদ্ধর পরিস্থিতি। এখানে ধনী, দরিদ্র, মধ্যবিত্ত এসবের বাছবিচার নেই। এখন বিনা পয়সায় চালের প্রয়োজন সকলেরই। হাহাকার সর্বত্র।
এই বন্ধকালীন পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের আর্থিক দুরাবস্থার কথা চিন্তা করে বেসরকারি জনমুখী সংগঠনগুলোও এগিয়ে এসেছে। তারা গরিব মানুষেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার পাশাপাশি মধ্যবিত্তদেরও চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, তেল ইত্যাদি সাহায্য দিয়ে চলেছে। সেখানেও লাইন দিয়ে সাহায্যের এই দান সাদরে গ্রহণ করছে মধ্যবিত্তরাও।
শুধু তাই নয়, কোথাও কোনও সংগঠন যদি রান্না করা খাবারও বিতরণ করে, সেখানেও গরিব মানুষদের সাথে লাইনে থালা হাতে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যকেও। লকডাউনের মাস দেড়েকের মধ্যেই যদি এই অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাহলে আগামী দিনগুলোর জন্য কোন দৃশ্যপট অপেক্ষা করছে ? তাহলে কি দুর্ভিক্ষের আগমন বার্তার পদধ্বনি এই লকডাউন ! এ নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল।