ওয়েব ডেস্ক:- চলছে ভাঙ্গা গড়ার খেলা । অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভার পর দলে দলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান অব্যাহত। খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই হুগলি জেলাতে তৃণমূলের অবস্থান ছিল বেশ নজরকাড়া। কিন্তু বিগত লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল হুগলিতে বিজেপির বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তার বিরুদ্ধে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি।
বিগত লোকসভা নির্বাচনের পরেই মুখ্যমন্ত্রী জেলার শীর্ষ নেতৃত্বদের সাধারণ মানুষদের সমস্ত সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেন। তারপর থেকেই জেলায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল। হুগলি কেন্দ্রের যে বলাগড় বিধানসভাতে বিজেপি সবথেকে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিল এবার সেখানেই ঘটল পালাবদল। বিজেপি যখন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে ঠিক তখনই সোমবার গুপ্তিপাড়া, সোমড়াবাজার, বলাগড় এলাকার প্রায় ৩৭০ জন কর্মী বিজেপি এবং সিপিআইএম ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
হুগলি জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, মানুষের মধ্যে ধর্মের নামে ভেদাভেদের চেষ্টা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, জনবিরোধী পদক্ষেপে বীতশ্রদ্ধ হয়ে এই কর্মীরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং তাঁর দল মা-মাটি-মানুষের সরকারের ওপর পূর্ণ আস্থা ও ভরসা রেখেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন।’ এর মধ্যে প্রায় ১৮০ জনই বিজেপি কর্মী এবং বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। তিনি আরও বলেন, দলীয় নেতৃত্বের অনুমতি নিয়েই ওদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।
হুগলির বলাগড় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলেই এতদিন পরিচিত ছিল। কিন্তু বিজেপির প্রতি যেভাবে মানুষের মোহভঙ্গ ঘটছে তাতে কার্যত চিন্তিত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। নতুন করে তৃণমূলে কর্মীদের যোগদান ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।