রাজ্য সরকারের ‘শিক্ষারত্ন’ পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত মাদ্রাসা: ক্ষোভ প্রাক্তন মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী আব্দুস সাত্তারের
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিগত দু’বছর ধরে রাজ্য সরকার প্রদত্ত শিক্ষারত্ন পুরস্কার কোন মাদ্রাসা শিক্ষককে দেওয়া হচ্ছে না। এই বঞ্চনা নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে অনেক কিছুই ফাঁস করে দিলেন প্রাক্তন মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী আব্দুস সাত্তার ।
“এবছর ‘ শিক্ষারত্ন’-এর তালিকাতে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বাদ দেওয়া হয়েছে । রত্ন বঞ্চিত মাদ্রাসা । এই খবরে আরএসএস বিস্মিত । বিস্মিত বিজেপির নেতারা । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন না এই খবর মেনে নিতে পারছে না বাংলার মুসলিম সমাজ । কিন্ত মুসলিম সমাজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা্র উপর আঘাত ২০১১ সাল থেকেই আসতে শুরু করেছে বলে মনে করেন প্রাক্তন মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী ড. আবদুস সাত্তার । তিনি মাদ্রাসার কোনো শিক্ষককে শিক্ষারত্ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অবাক হননি । তিনি বলেছেন , এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই ।
২০১১ সাল থেকেই পরিকল্পিতভাবে মাদ্রাসা শিক্ষাকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছিল । তারই শেষ পেরেক পুঁতে দেওয়া হল এবছর শিক্ষারত্নে । তিনি বলেন , আমরা যখন ২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে সরে যায় । সেই সময় ২০০টির মত নিউ-সেট-আপ মাদ্রাসা তৈরি করেছিলাম । ১০০ টি নিউ-সেট-আপ মাদ্রাসা অনুমোদন দিয়েছিলাম । আর বাকী ছিল ১০০টি মাদ্রাসার অনুমোদন ।
তাও সব কিছু পাশ করা হয়েছিল । মন্ত্রীসভার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল । শুধুমাত্র কার্যকর করার সময় ছিল না । সুতরাং বাকী ১০০টি নিউ-সেট-আপ মাদ্রাসা অনুমোদন দিতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয় । এমনকি বাজেটে অর্থ বরাদ্দও করা হয় দাবি করলেন প্রাক্তন মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী ড. আবদুস সাত্তার ।
কিন্ত দেখা গেল , সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই নিউ সেট-আপ মাদ্রাসার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিল না । আমরা ৯০০ টি এমএসকে- র অনুমোদন দিয়েছিলাম । কিন্ত ৪৯৫টি চালু করতে পেরেছিলাম । ৪০৫ এমএসকে অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল । তাও এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেগুলিকে বাস্তবায়িত করল না । এগুলি বাস্তবায়ন হলেও কমপক্ষে নিউ-সেট-আপে ৯০০ এবং এমএসকেতে চার হাজার পদ সৃষ্টি হত । বড় ধরনের কর্মসংস্থান হত । আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ২৯৭টি পদ তৈরি করেছিলাম সেগুলি এখন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”