ওয়েবডেস্ক:- আসাম রাজ্য সরকার এবার মাদ্রসার উপর কোপ বসাতে চলেছে। রাজ্য থেকে মাদ্রাসা ও সংস্কৃত শিক্ষা পরিচালন বোর্ড তুলে দিতে চলেছে অসম রাজ্য সরকার। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ওই মাদ্রাসাগুলিকে স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার জানিয়েছেন, কোনও ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের কাজ নয় ধর্ম, আধ্যাত্ম ও আরবির মতো ভাষার শিক্ষা প্রদান করা। আমরা মাদ্রাসা ও সংস্কৃত শিক্ষাঙ্গনগুলিকে মূল ধারার আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে আনতে চাই। তাই ওই বোর্ডগুলি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
২০১৭ সালে মাদ্রাসা এবং সংস্কৃত টোল বোর্ড ভেঙে দিয়ে সেগুলিকে অসমে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত করেছিল অসম সরকার, এবার সেগুলিকে বন্ধের পথে হাঁটল তারা। হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও জানিয়েছেন, ১,২০০ মাদ্রাসা এবং ২০০ সংস্কৃত টোল রয়েছে অসমে। তাদের চালানোর জন্য কোনও স্বাধীন বোর্ড নেই। যার জেরে অনেক সমস্যা হচ্ছে। যাতে সেইসব পড়ুারাও মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সমতূল্য শংসাপত্র পান। সেই জন্য সমস্ত মাদ্রাসা এবং সংস্কৃত টোল বোর্ডকে সাধারণ স্কুলে পরিণত করার সিধান্ত নিয়েছে সরকার।”
শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বশর্মার মতে, অভিভাবকদের সিদ্ধান্তের জন্য শিশুরা যাতে প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য এই পদক্ষেপ করেছে সরকার। ১৪ বছরের নিচে শিশুরা সেখানেই যায়, যেখানে তাদের অভিভাবকরা ঠিক করেন। অভিভাবকেরাই সিদ্ধান্ত নেন শিশুদের কোথায় ভর্তি করা হবে। অতিরিক্ত ধর্মীয় শিক্ষার কারণে বাচ্চারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্ছিত হোক, এটা সরকার চায় না। সরকার একটি নির্দেশিকা আনবে, যাতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকে এবং ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে যাতে স্বাভাবিক শিক্ষাও দেওয়া হয়।
মন্ত্রী জানিয়ছেন, মাদ্রাসাগুলিকে অসম বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আওতায় আনা হবে এবং সংস্কৃত টোলগুলিকে পাঠানো হতে পারে কুমার ভাস্কর ভার্মা সংস্কৃত অ্যান্ড অ্যানসিয়েন্ট স্টাডিস ইউনিভার্সিটির অধীনে। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, পঞ্চম শ্রেণী থেকে সবকটি স্কুলে বাধ্যতামূলক করা হবে পরীক্ষা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে অসমে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয় না।