কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি নামানোর চেষ্টা শুরু করল মহারাষ্ট্র্র সরকার

Spread the love

অয়ন বাংলা,পরতিবেদন:- আধুনিক বিজ্ঞান এখন মেঘ থেকে বৃষ্টি নামিয়ে নিতে সাহায্য করছে। মহারাষ্ট্রের ৩৬টির মধ্যে ২৪টি জেলাতেই বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। রাজ্যের মারাথওয়াড়া ও ভিদর্ভা অঞ্চলে তৈরী হয়েছে খরা পরিস্থিতি। পরিস্থিতির মোকাবিলায় গত মাসে ‘ক্লাউড সিডিং’ অর্থাত্ কৃত্রিম উপায় বৃষ্টি করানোর সিদ্ধান্ত নেয় মহারাষ্ট্র সরকার। আজ, শুক্রবার সেই কৃত্রিম বৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হল।

প্রায় ২৮ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি আছে মারাথওয়াড়াতে। এর ফলে জল সংকটের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে সেখানে। জলের অভাবে ব্যহত হচ্ছে কৃষিকাজ। সমস্যার মোকাবিলায় অগত্যা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত তৈরীর পদক্ষেপ নেওয়া হল।

মহারাষ্ট্র সরকারের রাজস্ব দফতরের এক আধিকারিক জানান, কৃত্রিম বৃষ্টি করানোর দায়িত্ব এক বিদেশি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে এক বিশেষ বিমান। সংস্থার বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরাও এসে পৌঁছেছেন মারাথওয়াড়াতে। 

মেঘের মধ্যে যখন প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প জমতে থাকে তা জমে তৈরী হয় সূক্ষ জলের বিন্দু। সেই জলের বিন্দুগুলি জমে ভারী হয়ে গেলে আর তা আকাশে মেঘে ভেসে থাকতে পারে না। ফলে, বৃষ্টির আকারে তা ঝরে পড়ে।
মেঘের মধ্যে যখন প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প জমতে থাকে তা জমে তৈরী হয় সূক্ষ জলের বিন্দু। সেই জলের বিন্দুগুলি জমে ভারী হয়ে গেলে আর তা আকাশে মেঘে ভেসে থাকতে পারে না। ফলে, বৃষ্টির আকারে তা ঝরে পড়ে।
মেঘে পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প জমা হয়ে জল বিন্দু তৈরী হয় না। ফলে বৃষ্টি হয় না। কিন্তু সেই অঞ্চলেও বায়ুতে অল্প জলীয় বাষ্প থাকে। কৃত্রিম বৃষ্টি বা ক্লাউড সিডিং-এর মাধ্যমে এই অসম্পৃক্ত জলীয় বাষ্প জড়ো করে জলের বিন্দু তৈরী করা হয়। এর ফলে, বৃষ্টি হয়। এই পদ্ধতিতে বিমানে করে বা ভূপৃষ্ঠ থেকেই সিলভার আয়োডাইড স্প্রে করা হয়। এই ভাবেই বায়ুর জলীয় বাষ্পকে একসঙ্গে আনা হয়।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, স্পেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই পদ্ধতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরী করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও এই পদ্ধতিতে প্রায় ৫২ বার বৃষ্টি তৈরী করা হয়েছে। 

সৌজন্য :- মহানগর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.