হাথরসে সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, দিন ভর চলল টানাপোড়েন ,অবশেষে এস পি ,ডি এস পি সহ ৭ জনকে বরখাস্ত
ওয়েব ডেস্ক:- হাথরস গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করেই ক্ষান্ত থাকেনি প্রশাসন। নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছে না। আটকে রেখেছে বাড়িতে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কোনওমতে গ্রামের সীমান্তে এসে এসব কথা জানাল এক নাবালক।
শুক্রবার সকালে ওই নাবালককে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঠান। তাকে বলা হয়, যেনতেন প্রকারে সে যেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে পরিবারের দুর্দশার কথা তুলে ধরে। ওই নাবালক জানিয়েছে, প্রশাসন পরিবারের সকলকে ফোন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কারও আবার ফোন কেড়ে নিয়েছে।
ক্ষেত পেরিয়ে সে কোনও মতে গ্রামের প্রান্তে এসে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খোলে। বলে, ‘ওরা ফোন কেড়ে নিয়েছে। আমার পরিবার আমাকে এখানে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঠিয়েছে। আমি পালিয়ে ক্ষেকের মধ্যে দিয়ে এসেছি। ওরা আমাদের বেরোতে দিচ্ছে না। সংবাদ মাধ্যমকেও ঢুকতে দিচ্ছে না। ওরা আমাদের ভয় দেখাচ্ছে।’
ওই নাবালক কথা বলা সময় এক পুলিশ অফিসার সেখানে চলে আসে। তখনই ছেলেটি পালিয়ে যায়। এর পর সাংবাদিকরা পুলিশকে জিজ্ঞেস করেন, কেন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ অফিসার কোনও জবাব দেননি।
এদিন টুইটারে যোগী সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে রাজ্য কংগ্রেস। হিন্দিতে লিখেছে, ‘আজ যোগীজি সংবাদ মাধ্যমের গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন, কারণ সংবাদ মাধ্যম গোটা দেশের কাছে সেখানকার খবর তুলে ধরেছে। তারা যোগীজির জঙ্গলরাজের সত্য ফাঁস করেছে। তাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদের প্রবেশ।’
হাথরসকাণ্ডে দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ, প্রবল চাপে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। শেষমেষ সাসপেন্ড করা হল হাথরসের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং আরও দুই পুলিশকর্মীকে। শুক্রবার রাতে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ওই ঘটনায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।