অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক :- মোদি সরকার বেকারদের নিয়ে কিছু করে না কিছু ভাবে না ।এই বিষয়কে সামনে রেখে মোদি সরকার বেকারদের জন্য নতুন স্কিম ঘোষণা করলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বেকারত্বের প্রশ্ন সামনে এসেছে বারবার। সরকারের দাবি কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক। কিন্তু তবুও বেকারের সংখ্যাকে হাতিয়ার করছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার নতুন করে আসরে নামছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আগামী বছরেই শুরু হচ্ছে বিশেষ প্রোগ্রাম।
মোদী সরকার শুরু করছে বিশেষ ‘অ্যাপ্রেন্টিসশিপ’ প্রোগ্রাম। ২০১৯ থেকেই শুরু হবে সেই প্রোগ্রাম। বিশেষত ‘হিউম্যানিটিস’- ও এই ধরনের বিষয়ে যারা পড়াশোনা করছেন তাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এই সুযোগ পাবে। এই বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশ নিলে তারা পড়াশোনা শেষে সহজেই চাকরি পেতে পারে।
ডিগ্রি কোর্সের শেষ বছরে ছাত্রছাত্রীরা এই প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবেন। ৬ থেকে ১০ মাসের এই বিশেষ কোর্স করানো হবে। এর জন্য সরকারের তরফে স্টাইপেন দেওয়া হবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে এই ট্রেনিং প্রোগ্রাম করানো হবে।
সাধারণত যেসব ছাত্রছাত্রীরা টেকনিক্যাল কোর্সের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাদের পক্ষে চাকরি পাওয়া সহজ হয়। কিন্তু নন-টেকনিক্যাল ডিগ্রি অর্থাৎ ইতিহাস, সমাজবিদ্যার মত বিষয়ে পড়াশোনা করলে সব ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়া সহজ হয় না। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ কোর্স করানো হচ্ছে। এই কোর্স করলে আগামিদিনে তারা কী ধরনের কাজ পেতে পারে, সেটাও অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
এই প্রোগ্রামে উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক ও শ্রম মন্ত্রকের মধ্যে এই বিষয়ে বৈঠক হয়ে গিয়েছে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অন্তত ১০ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে এই প্রোগ্রামের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।
‘ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রোমোশন স্কিম’-এর জন্য ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে সরকারের। সেই টাকা এতদিন ব্যবহার হয়নি। এবার সেই টাকা ব্যবহার ছাত্রছাত্রীদের স্টাইপে দেওয়া হবে। চাকরির দিশা দেখানো থেকে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সংযোগের ব্যবস্থাও থাকে এই প্রোগ্রামে।
এই প্রোগ্রামে অংশ নিতে চাইলে সবরকম তথ্য পাওয়া যাবে স্কিল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রির ওয়েবসাইটে। সেখানেই ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের যোগ্যতা, বয়স দিয়ে প্রোগ্রামের বিষয়ে জানতে পারবে।