স্যোসাল মিডিয়ায় নেটিজনরা বিরোধীদের সমালোচনায় মুখর।
বুধবার ঝড়ের সময় তো দূর, রাতে বা এদিন সকালের দিক পর্যন্তও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।
প্রবল ক্ষোভ উগড়ে উঠল গোটা বাংলাজুড়ে।
বহু আমজনতাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আক্রমণ করেছেন মোদী সরকারের উদ্দেশে।
নিউজ ডেস্ক:- ঘূর্ণিঝড় উম্পুনে ধ্বংসলীলা চলেছে বাংলার বিপুল অংশজুড়ে। চারিদিকে হাহাকার, মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত ৭২ জনের। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বিনিদ্র রজনী জাগছেন উদ্বিগ্ন মুখে নবান্নে। আর রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল গুলির এখন ও ঘূম ভাঙ্গেনি । বিজেপি সাংসদরা দাবী করুক জাতীয় বির্পজয় ।এই রকম হাজারো কথা ঘুরছে স্যোসাল মিডিয়ায়। কিন্তু কোনও উচ্চ বাচ্য নেই বিরোধী দলগুলির।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার ঝড়ের সময় তো দূর, রাতে বা এদিন সকালের দিক পর্যন্তও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। আর তা নিয়েই প্রবল ক্ষোভ উগড়ে উঠল গোটা বাংলাজুড়ে। এমন নয় যে সেই ক্ষোভ তৃণমূলের পরিকল্পনা করে তৈরি। বহু আমজনতাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আক্রমণ করেছেন মোদী সরকারের উদ্দেশে।
দুপুর ১.৫০-এ ট্যুইট করে মোদী লেখেন, ‘ঘূর্ণিঝড় উম্পুনে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ছবিতে দেখলাম। কঠিন এই সময়ে গোটা দেশই পশ্চিমবঙ্গের প্রতি পাশে রয়েছে। রাজ্যের মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছে দেশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আবার দুপুরের দিকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন জানিয়ে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোদীরও পর। দুপুর ১.৪৬ মিনিটে।
বাংলার আমজনতার ক্ষোভ অবশ্য শুধু মোদী-অমিত শাহের দিকেই নয়, নিশানায় আছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতা-বিজেপি সাংসদরাও। উম্পুনের ধ্বংসলীলার পর বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব কেন কেন্দ্রের কাছে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণা করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
কেন্দ্রীয় সাহায্যের দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। উম্পুনের পর রাজ্যের ধ্বংসলীলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা বলেছেন অমিত শাহ। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘৫০০ দিন বাদে টাকা পেলে লাভ নেই। দ্রুত দরকার। COVID-এর টাকা এখনও পাইনি। রাজ্যের ভাঁড়ারে এমনিই টান। তারউপর দুর্যোগ।’ তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে বলব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করুন’
মুখ্যমন্ত্রী বার বার আবেদন করছেন কোন রাজননীতি নয় এই মূর্হূতে । আবার মানবিকতর খাতিরে বিষয়টি দেখার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সৌজন্য:- এই সময়