ওয়েব ডেস্ক ,অয়ন বাংলা:- মোদিজীর পকোড়া ,মমতার চপ শিল্প এখন বাস্তবে বিক্রী করলে গ্রেফতার হতে হয়।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার সামনে এক অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ দেখালেন চন্ডীগড়ের যুবসমাজ। মঙ্গলবার চন্ডীগড়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ছিল। সেখানে কিছু যুবক-যুবতী স্নাতক ডিগ্রি প্রদানের সময় যে নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করা হয়, তা পরিধান করে পকোড়া বিক্রি করে প্রতিবাদ জানান। পকোড়ার নাম দেওয়া হয়েছিলো ‘মোদী পকোড়া’। যদিও এই মোদী পকোড়া খুব বেশি বিক্রি করতে পারেননি আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন শুরু হওয়ার কিছু পরেই পুলিশ তাদের ১২ জনকে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিচ্ছে, “ইঞ্জিনিয়ারের বানানো পকোড়া কিনুন” বা “পকোড়া বিক্রির জন্য রয়েছে BA ও LLB পাশ ছেলেমেয়েরা।” পুলিশ যখন আন্দোলনকারীদের বলপূর্বক জিপে তুলছে তখন কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করে একজনকে ক্যামেরার সামনে বলতে দেখা গিয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই অনন্য পকোড়া শিল্প প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছেন। আমরাও এই পকোড়া শিল্পের কদর বোঝাতে এখানে এসেছি। আমাদের শিক্ষিত যুবসমাজের বেঁচে থাকার জন্য এছাড়া আর কোনো উপায় নেই।”
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রতিশ্রুতি পূরণ তো দুরের কথা সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ২০১৬ সালে নোটবন্দীর পর ৫০লাখের বেশি মানুষ তাদের চাকরি খুইয়েছেন। বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে গত বছর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “একজন যুবক পকোড়া বিক্রি করে দিনের শেষে ২০০টাকা আয় করে। এটাও তো চাকরি হিসেবে ধরতে হবে।”
এই বছরের শুরুতে NSSO-র ফাঁস হওয়া গোপন তথ্যে দেখা গিয়েছে গত ৪৫ বছরের মধ্যে মোদী সরকারের আমলে দেশে বেকারির হার সর্বোচ্চ – ৬.১%। জানা গিয়েছে, কেন্দ্র সরকার এই রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষাতেই কথা বলেছেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেকারদের চপ ভাজার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বেকারদের পানের দোকান খুলতে বলেছিলেন। বেকার হওয়া অপরাধ,আর বেকারদের জীবন নিয়ে ছিনি মিনি খেলা নেতাদের যেন জন্মগত অধিকার।