ওয়েব ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- শেষ দফার ভোটের আগে ধ্যানস্থ হলে মোদিজী। উনার দিন কি শেষ হতে যাচ্ছে তাই গুহায় ধ্যান করছেন এই রকম হাজারো আলোচনা সমালোচনা চলছে।কেউ বলছে উনার বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে তাই ধ্যানে মগ্ন হচ্ছেন । এখন এই নিয়ে জোর আলোচনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাজারো সমালোচক থাকতে পারেন। বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে কোণঠাসা করতে পারেন। কিন্তু, মোদির ধর্মে মতি নেই, একথা তাঁর অতি বড় শত্রুরাও হয়তো বলতে পারবেন না। পাঁচ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের বিভিন্ন সময়ে মোদিকে বিভিন্ন মন্দির সফরে যেতে দেখা গিয়েছে। বার কয়েক গিয়েছেন কেদারনাথের মতো দুর্গম তীর্থক্ষেত্রেও। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষেও ফের বাবা কেদারনাথেরই দ্বারস্থ হলেন মোদি। দু’দিনের সফরে উত্তরাখণ্ড রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার তিনি যান কেদারনাথ মন্দিরে। রবিবার শেষ দফার ভোটের দিনই তাঁর যাওয়ার কথা বদ্রীনাথে।কেদারনাথে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। মোদি ক্ষমতায় আসার পর কেদারনাথ-সহ বেশ কয়েকটি তীর্থক্ষেত্রের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে পর্যটন শিল্পের উপর। কেদারনাথে আপাতত কয়েকটি কৃত্রিম গুহা নির্মাণের কাজ চলছে। শনিবার সারাদিন প্রধানমন্ত্রী সেখানেই থাকছেন। গুহা নির্মাণ এবং আধুনিকীকরণের কাজ খতিয়ে দেখবেন। কেদারনাথে গিয়ে গুহার ভিতরে ধ্যানরত অবস্থাতেও দেখা হিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানে পুজোও দিয়েছেন তিনি। এদিন, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে এই তীর্থক্ষেত্রে।
গোটা এলাকা নিরাপত্তারক্ষীতে ছেয়ে ফেলা হয়েছে। তুষারপাতের জন্য দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ থাকার পর গত ৯ মে খোলা হয়েছে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। তখনই তীর্থক্ষেত্রে শিব-দর্শনে যাওয়ার কথা মনোস্থির করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এর আগে ২০১৭ সালে বার দুই কেদারনাথ সফরে যান মোদি। গতবছর দিওয়ালিতেও কেদারনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শেষ মেষ ধ্যান তিনি কবে ভগ্ন করবেন এখন সেটাই দেখার।