অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- মোদিজী এখন ভুলভাল বকছেন ,উনি 1988 সালে নাকি ইমেল ইন্টার নেট ব্যাবহার করতেন। উনি এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে এবার রীতিমতো হাস্যকর যুক্তি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্তত বিরোধীরা তাই বলছে। সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, “যেদিন এয়ারস্ট্রাইক হওয়ার কথা ছিল সেদিন হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়। বৃষ্টি শুরু হয়। আধিকারিকরা চিন্তিত ছিলেন। তখন আমি তাদের বলি, মেঘলা দিনে এয়ারস্ট্রাইক করলেই আমাদের সুবিধা হবে। এতে আমরা পাকিস্তানের রাডার এড়িয়ে যেতে পারব।”টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মোদিকে এয়ারস্ট্রাইক সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “হঠাৎ করে পরিবেশ খারাপ হয়ে গেল। মেঘ, বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। যখন রিভিউ মিটিংটা হচ্ছিল তখন বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মত দিয়েছিলেন এয়ারস্ট্রাইকের দিন পরিবর্তন করার পক্ষে। কিন্তু আমার মাথায় দুটি বিষয় ছিল। একটি হল গোপনীয়তা। দ্বিতীয়ত, আমি বিজ্ঞান বুঝি না। কিন্তু এখানে একটা সুবিধাও আছে। আমার মনে হল, এই মেঘ আসলে আমাদের উপকারেই আসতে পারে। আমরা পাকিস্তানের রাডার এড়াতে পারব এর জন্য। সবাই বিভ্রান্ত ছিল, আমি বললাম মেঘ আছে তাতে কি, আপনারা এটা করুন।” মোদির এই বক্তব্য বিজেপির তরফে টুইট করা হয়। পরে সমালোচনার মুখে পড়ে টুইটটি ডিলিটও করে দেওয়া হয়। যদিও, মোদির বক্তব্যের ভিডিওর টুইটটি এখনও রয়ে গিয়েছে। মেঘলা দিনে এয়ারস্ট্রাইক করলে পাকিস্তানের রাডার এড়ানো যাবে মোদির এই আজব যুক্তিতে রীতিমতো হাসির রোল উঠেছে নেটদুনিয়ায়। বিরোধীরা তো বটেই নেটিজেনদের একাংশও মোদির এই যুক্তি মেনে নিতে পারছেন না। অনেকেই বলছেন মোদির এই মন্তব্য হাস্যকর। কংগ্রেসের তরফে টুইট করে রীতিমতো কটাক্ষ করা হয়েছে মোদি। মির্জা গালিবের একটি উর্দূ কবিতার অপভ্রংশ তৈরি করে কংগ্রেস টুইট করেছে, “পাঁচ বছর ধরে খালি জুমলা দিয়ে গেলেন, ভেবেছিলেন আকাশে মেঘ থাকবে, ধরা পড়বেন না।” কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি নিজেই মুর্খতার ভাণ্ডার।বায়ুসেনা তাঁর কাছে পরামর্শ কেন নিতে গেল সেটাই বুঝতে পারছি না। মোদির এই বক্তব্যেই বোঝা গেল এয়ারস্ট্রাইকে পাকিস্তানের কোনও ক্ষতি হয়নি কেন।” সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলছেন, “প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বহীনের মতো কথা বলছেন, ওনার আর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার অধিকার নেই। ” মোদিজী এবার কি বলেন সেটাই দেখার।