ওয়েবডেস্ক:- করোনায় ঘুম ছুটেছে গোটা বিশ্বের ভালো নেই ভারতও। লকডাউন এর পাশাপাশি একের পর এক কঠিন পদক্ষেপও থামাতেে পারছে না মারণ ভাইরাসকে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই রবিবার মান কি বাত-এ উপস্থিত হয়ে দেশের সংখ্যালঘু ভাইবোনদের আল্লাহর কাছে করোনা মুক্ত ভারতের প্রার্থনা করার অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার কথায়, রমজান মাসে আরও বেশি করে প্রার্থনা করুন। যাতে ঈদের আগেই করোনা মুক্ত হয় ভারত।
রমজানে সবাই মিলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন যেন ঈদের আগেই দেশ করোনা মুক্ত হয়, রবিবার ১১ টায় ‘মন কি বাত’- এ একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি দেশবাসীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ভারতের সমস্ত নাগরিক সৈনিকের মতো যুদ্ধ করছেন। তিনি আরও বলেন, গত বছর রমজান পালন করার সময় কেউ ভাবতেই পারেননি যে এবার এই রকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে। এত সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আসুন সবাই মিলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যাতে ঈদের আগেই দেশ করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়।
দেশজুড়ে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মাঝে রবিবার তার বক্তব্যের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ছিল করোনা। দেশবাসীর কাছে তিনি অনুরোধ করেন আরো বেশি করে সতর্ক হওয়ার জন্য। যাতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ না হয়ে ওঠে। পাশাপাশি করোনা সঙ্গে লড়তে লড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস। সে প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ হয়তো ভাবতেও পারিনি উৎসবের এমন সময়ে ভয়াবহ এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। আসুন আমরা সকলে আরো বেশি করে কাছে প্রার্থনা করি যাতে ঈদের আগেই করোনা মুক্ত হতে পারি আমরা।
পাশাপাশি দেশের এমন পরিস্থিতিতে তিনি জনতার কাছে অনুরোধ করেন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার তার কথায় অন্তত দূরত্ব অবলম্বন করা ভীষণভাবে প্রয়োজন একইসঙ্গে প্রয়োজন মাস্ক পরা। আগামী দিনে এই মাস্ক সুস্থ সমাজের প্রতীক হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে তার দাবি বর্তমান পরিস্থিতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেউ নিজের বেতন দান করছেন। কেউ সাধারণের জন্য মাক্স তৈরি করছেন, কেউ আবার তার ক্ষেতের ফসল দান করছেন দুস্থদের জন্য। একাধিক জিমখানা স্কুল হয়ে উঠেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। মানুষ তার প্রতিবেশী কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলি লড়াইয়ের মনোবল তৈরি করছে আমাদের।
পাশাপাশি দেশের এমন পরিস্থিতিতে তিনি জনতার কাছে অনুরোধ করেন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার তার কথায় অন্তত দূরত্ব অবলম্বন করা ভীষণভাবে প্রয়োজন একইসঙ্গে প্রয়োজন মাস্ক পরা। আগামী দিনে এই মাস্ক সুস্থ সমাজের প্রতীক হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে তার দাবি বর্তমান পরিস্থিতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে।
তবে এটাও জানিয়ে দিতে বলেননি দেশের এই কঠিন সময়ে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন সেই সমস্ত ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর কোনো রকম হেনস্থা বা হামলার ঘটনা ঘটলে তা বরদাস্ত করবে না সরকার। এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।