অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- অর্থের অভাবে নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেনা বাইক অ্যাম্বুলেন্সের জনক পদ্মশ্রী করিমুল হক
অর্থের অভাবে নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেনা বাইক অ্যাম্বুলেন্সের জনক পদ্মশ্রী করিমুল হক
অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে নিজের মা’কে সময়মতো চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেননি পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার এক প্রত্যন্ত ধলাবাড়ি গ্রামের কারিমুল হক ,পেশায় চা বাগান শ্রমিক কারিমুল অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি, নিজের মা কে হারিয়ে সেদিন প্রতিজ্ঞা করেন এভাবে যেন আর কোন মায়ের মৃত্যু না হয় ।
পেশায় চা শ্রমিক করিমুলের প্রতিমাসে আয় মাত্র পাঁচ হাজার টাকা, পরিবারে তারা স্বামী-স্ত্রী ছাড়া তিন ছেলে মেয়ে ও দুই নাতি-নাতনি, সংসার খরচ চালিয়ে অনেক কষ্টে জমানো টাকা দিয়ে একটি মোটরবাইক কেনেন কারিমুল। সেটিকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে আশেপাশের প্রায় ২০ পঁচিশটা গ্রামের মানুষের সেবা করতে নিজেকে নিয়োজিত করেন সম্পূর্ন বিনামূল্যে।
যখননি কারো অসুস্থতার কথা তিনি শুনতেন সঙ্গে সঙ্গে চা শ্রমিকের কাজ ছেড়ে রোগিকে নিজের বাইক অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।
এইভাবে বিনামূল্যে পরিশ্রম দিয়ে তিনি এলাকার লোকের কাছে “অ্যাম্বুলেন্স দাদা” নামে পরিচিতি লাভ করেন।
অভাবি করিমুলের রোজগার বলতে চা শ্রমিকের কাজ করে আয় কেবল মাত্র পাঁচ হাজার টাকা, সেই টাকায় কোন ক্রমে সংসার চালান কিন্তু গত দুই তিন মাস থেকে করিমুল চোক নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন, একমাস আগে ডান চোখের অপেরেশন করলেও বাম চোখে তিনি মোটেও কিছু দেখতে পাচ্ছেন না।
শিলিগুড়িতে চিকিৎসা করালে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা জানান এক বিরল জটিল রোগ হয়েছে, সাধারনত এই রোগ ভারতে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১২ জনকে হয়েছে, যার চিকিৎসার জন্য এক একটা ইঞ্জাকশিনের খরচ কুড়ি হাজার টাকা,এই ইঞ্জাকশিন চোখে প্রতিমাসে একটি করে করতে হবে, যার খরচ করা করিমুল হকের পক্ষে অসম্ভব।বর্তমানে তিনি নিজের চোখের চিকিৎসা কিভাবে করাবেন এই চিন্তায় চিনিন্ত হয়ে দিশেহারা বাংলার গর্ব পদ্মশ্রী করিমুল হক। যিনি এতদিন যাবত অন্যর সেবা করে আসছেন আজ তিনিই নিজের চোখের চিকিৎসার জন্য সাহায্য প্রার্থী।