আনসারুল ইসলাম,অয়ন বাংলা :-আজ ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার নির্বাচন। দিনের শুরুর থেকে শেষ পর্যন্ত জমা হলো অনেক অভিযোগ। শাসক ও বিরোধীদের দড়ি টানাটানিতে অকালে ঝরে গেলো একটি প্রাণ টিয়ারুল শেখ। আঠারো বছর বয়সী ছেলের সামনে খুন হতে হলো বাবাকে। বাড়ীর সামনে দিয়ে এম্বুলেন্স সাইরেন বাজিয়ে নিয়ে গেছে আরো কয়েক জনকে। জানিনা তারা বাজবেন কি মরবেন। কিন্তু কেন ? কোন মানুষ সাংবিধানিক অধিকার বঞ্চিত হবেন ? কেন একজন মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। কেন তাকে ভোট দিতে গিয়ে খুন হতে হবে। আমরা গর্বের সঙ্গে বলে থাকি পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করি। কিন্তু সবাই স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। এখনো সাধারণ মানুষকে রক্ত চক্ষুর সম্মুখীন হতে হয় ভোটের জন্য। গণতন্ত্র ভোটের জন্য আবেদন করতে পারে কাউকে খুন করতে পারে না। এ লজ্জা গণতন্ত্রের লজ্জা। এ লজ্জা সমাজের লজ্জা। এ লজ্জা ক্ষমতা লোভী শাসকের লজ্জা।
ক্ষমতা দখলের লড়াই শুরু করেছেন শাসক ও বিরোধী দল। অবলম্বন করছেন নানান অগণতান্ত্রিক পথ। শাসক ও বিরোধীদের পরস্পর অসহযোগিতা। কেন্দ্র ও রাজ্য শাসক দ্বয়ের দুই বাহিনীর পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ গণতন্ত্রকে দাড় করিয়েছে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। নির্বাচন কমিশন জনসাধারণকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। যার বলি হতে হচ্ছে টিয়ারুল শেখের মত খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ।
পশ্চিমবঙ্গে ৪২ টি লোকসভার আসন। তাতে শাসক দলকে ৪২ টি আসন পেতে হবে এটা সাংবিধানিক কোন অধিকার। না অন্যায় কোন আবদার ? মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী শুন্যের ডাক যেমন মানুষকে উশৃঙ্খল করে করে তুলেছে তেমনি পুলিশকে করে তুলেছে নির্বিকার। প্রশাসন ও অশুভ শক্তির মিলিত আঁতাতে জনজীবন যেন বিপর্যস্ত। ক্ষমতা বিলাসী ও বাক চটুল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ কে দাড় করিয়েছেন অস্তিত্বের সংকটের মুখে যার ফলশ্রুতিতে মাথা চাড়া দিয়েছে ঘৃণ্য বজ্জাতির লড়াই, বিনষ্ট হতে চলেছে ভারতের সংহতি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী শুন্যতার ডাক নষ্ট করছে ভ্রাতৃত্ববোধ। সাংবিধানিক অধিকার ভুলণ্ঠিত নির্বাক সমাজ নীরব দর্শক প্রতিবাদের ভাষা যেন হারিয়ে ফেলেছে তার মহত্ব। এ যেন গণতন্ত্রে অবক্ষয়।