মুর্শিদাবাদে জঙ্গিযোগ নোংরা নিয়ে রাজনীতির খেলা চলছে: সাংসদ খলিলুর রহমান ও আবু তাহের খান

Spread the love

নিউজ ডেস্ক:-   যে মাদ্রাসার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেটা একটা জরাজীর্ণ মাদ্রাসা দশজনও পড়ুয়াও নেই। সেখানে কিভাবে ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। খারিজি মাদ্রাসা গুলোতো চাঁদা দিয়েই চলে। এখনো পর্যন্ত রাজ্যের একটা মাদ্রাসাতেও জঙ্গী কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই ধরনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলা তথা ভারতে খারিজি মাদ্রাসা গুলোতে ইসলামের নৈতিক ও চরিত্রগত পাঠ শেখানো হয় মুর্শিদাবাদে এমন খারিজি মাদ্রাসা অনেক রয়েছে যেখানে দুই হাজার থেকে তিন হাজার পর্যন্ত ছাত্র পড়াশোনা করে। পড়ুয়াদের তিন বেলা খাওয়া দাওয়া সহ সমস্ত ব্যবস্থা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ করে থাকে। সেগুলি সবই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের যাকাতের অর্থ বা অন্যান্য অনুদান দ্বারা পরিচালিত হয় ওই মাটির তৈরি খারিজি মাদ্রাসা নিয়ে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে যা বলার মত ভাষা নেই ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। বিজেপি সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মুসলিম সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই অভিযোগ করেছে এটা নিয়ে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে মানুষ হয়রান হচ্ছে।

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিযোগ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমনই যৌথ মন্তব্য জানালেন মুর্শিদাবাদের দুই সাংসদ খলিলুর রহমান ও আবু তাহের খান।

এই দুই সাংসদ আরো বলেন একশ্রেণীর সংবাদমাধ্যমে মুর্শিদাবাদকে যেভাবে জঙ্গী কার্যকলাপের ঘাঁটি, অস্ত্র তৈরির মেশিন ও বাংকার পাওয়া গিয়েছে বলে অপপ্রচার করছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েই বলছি মুর্শিদাবাদে জঙ্গী কার্যকলাপের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মুর্শিদাবাদের যে তরুণদের ধরা হয়েছে তাদের অনেকেই ঠিকমতো ফোনও চালাতে জানেনা এরা প্রায়ই অশিক্ষিত। তাদেরকে ধরে এই ধরনের কার্যকলাপের ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে সমগ্র মুসলিম সমাজকে। এই ঘটনা আমরা সঠিক তদন্তের দাবি করছি। সত্যি কারের তারা যদি দোষী হয় নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার।

সেখানে দল ধর্ম জাতপাত দেখার প্রয়োজন নেই। কিন্তু নির্বাচনের আগে রং ছড়িয়ে নির্দোষ মানুষদের জঙ্গি তকমা দিলে তার চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না। ঘরের ভিতরে পায়খানার চেম্বারকে সুরঙ্গ বলা হচ্ছে, লেদ মেশিন অস্ত্র তৈরি মেশিন বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা দুর্ভাগ্যের। সরেজমিনে দেখলেই বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা যাবে। রং ছড়িয়ে প্রচার করা হচ্ছে। ভুয়া প্রচারের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের মানুষ পথে নেমেছে আগামীতে আরোও নামবে।

সৌজন্যে পুবের কলম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.