ওয়েবডেস্ক: ৫০:৫০ সরকারের দর কষাকষি এখনও চালাচ্ছে শিবসেনা৷ তবে তাতে যে বিজেপি রাজী নয় সেটা এতদিনের টানাপোড়েনে বেশ স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ এরই মধ্যে আবার বিজেপিকে এনসিপির হাত ধরারও হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছে সেনা৷ তবে সদুত্তর আসেনি বিজেপির দিক থেকে৷ এই পরিস্থিতি বিজেপিকে বাদ দিয়েই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ায় শিবসেনার হাত ধরার গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দিল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি(এনসিপি)৷
এনসিপির মুখপাত্র নবাব মালিক জানিয়েছেন, “বিকল্প পথ তখনই খুলতে পারে যখন উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন দল মানুষের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে৷ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ যে জনগণের সরকারের কথা বলেছিলেন, শিবসেনা যদি তেমন সরকার গড়তে চায় তাহলে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।” তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে গণতন্ত্রকে হত্যার অনুমতি আমরা দিতে পারি না। শিবসেনা তাদের অবস্থান শুধু স্পষ্ট করলে এনসিপিও ইতিবাচক দিকে এগোবে’৷ তবে মালিকের এই কথা বেশ বিস্মিত করে রাজনৈতিক সমালোচকদের৷ কারণ কিছুদিন আগে এই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারই বলেছিলেন, জনগণের রায় মেনে তাঁরা বিরোধী আসনেই বসবেন৷
তবে এনসিপির মুখপাত্র নবাব মালিকের প্রস্তাবকে কিছুটা খারিজ করেই শিবসেনার মুখপাত্র ‘সামনা’তে তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনওরকম জোটের ক্ষেত্রে তারা আগে থেকে কোনও পদক্ষেপই নেবে না৷ ‘সামনা’র প্রতিবেদনে সেনার তরফ থেকে লেখা হয়েছে, তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসন যাতে না জারি করে৷ যদি বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারে তাহলে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে শিবসেনা সরকার গড়ার দাবি করবে৷ প্রসঙ্গত, ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে কোনও দলই সরকার গড়ার দাবি জানায়নি। কারণ নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার জটই এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছে না বিজেপি-শিবসেনা৷ ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি ১০৫টি, শিবসেনা ৫৬টি, এনসিপি ৫৪টি ও কংগ্রেস ৪৪টি আসন পেয়েছে। ভোটের আগে জোট গড়ে লড়েছিল বিজেপি ও শিবসেনা।