অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- নেতাজী ইনডোরে মমতা ব্যার্নাজী কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের পাশে নিয়ে বললেন
‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে এনআরসি করুক না। ত্রিপুরায় করলে ওদের মুখ্যমন্ত্রীর নামই বাদ যাবে”। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সমাবেশ ডেকেছিল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। সেখানেই প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি কর্মচারিদের পাশে দাঁড়িয়ে দিল্লি পর্যন্ত ধর্নার আয়োজন করার নির্দেশ দেন মমতা। মুম্বই এবং চেন্নাইতেও ধর্না হবে বলে জানান তৃণমূল নেত্রী। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এদিন এনআরসি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একাধিক ঘটনার কথা উঠে আসে।
এদিন তৃণমূল নেত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার হাল খারাপ হয়ে আছে। কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। মানুষ কী করবে? পুজোর মরশুমে এই অবস্থা। কেন্দ্রের কোনও হেল-দোল নেই।’ বিএসএনএল এবং এয়ার ইন্ডিয়ার মতো একাধিক সংস্থার জীর্ণ দশার কথাও তুলে ধরেন মমতা। সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সাহসী হলে আপনাদের সঙ্গে আমি দুঃসাহসী হব। সাহস না দেখিয়ে ভয়ে গুটিয়ে গেলে কিন্তু আমাকে পাশে পাবেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচিত ঠিক করে মমতা বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর কাশীপুর গানসেল ফ্যাক্টরি এবং ২৭ তারিখ ডালহৌসীতে কোল ইন্ডিয়ার সামনে অবস্থান করবে তৃণমূল। এছাড়াও আরও একাধিক কর্মসূচি ও দিল্লিতে ধর্না করা হবে জানান মমতা।
এদিন তৃণমূল নেত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার হাল খারাপ হয়ে আছে। কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। মানুষ কী করবে? পুজোর মরশুমে এই অবস্থা। কেন্দ্রের কোনও হেল-দোল নেই।’ বিএসএনএল এবং এয়ার ইন্ডিয়ার মতো একাধিক সংস্থার জীর্ণ দশার কথাও তুলে ধরেন মমতা। সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সাহসী হলে আপনাদের সঙ্গে আমি দুঃসাহসী হব। সাহস না দেখিয়ে ভয়ে গুটিয়ে গেলে কিন্তু আমাকে পাশে পাবেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে কর্মসূচিত ঠিক করে মমতা বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর কাশীপুর গানসেল ফ্যাক্টরি এবং ২৭ তারিখ ডালহৌসীতে কোল ইন্ডিয়ার সামনে অবস্থান করবে তৃণমূল। এছাড়াও আরও একাধিক কর্মসূচি ও দিল্লিতে ধর্না করা হবে জানান মমতা।
এদিন প্রথম প্রকাশ্যে যাদবপুর কাণ্ড নিয়েও মুখ খুলতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা ও তার পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলা তাণ্ডব নিয়ে কার্যত যাদবপুরের পাশেই দাঁড়ান মমতা। বলেন, ‘যাদবপুরে কী হয়েছে সবাই জানে। গায়ের জোর দেখানো হচ্ছে। মানুষকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে।’ প্রসঙ্গত, এদিন এবিভিপির তরফে যাদবপুরের উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ মিছিলও করা হচ্ছে। সেই মিছিলও রুখে দেওয়া হবে বলে জানান মমতা।
দিল্লি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠকের পর এ রাজ্যে এনআরসি প্রয়োজন হবে না বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা সত্ত্বেও রাজ্যে এনআরসি আতঙ্কে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৬টির বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে মমতা বলেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে এনআরসি করুক না। ত্রিপুরায় করলে ওদের মুখ্যমন্ত্রীর নামই বাদ যাবে। যদি আমার মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট চায়, আমি কোথা থেকে দেব? অযথা এনআরসি নিয়ে ভয় পাবেন না। ভোটার লিস্টে নাম তুলতে অসুবিধা হলে আমাদের দলের লোককে বলবেন। নিজের জীবন নষ্ট করবেন না।’