অসহায় সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের পাশে সর্বদা মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব

Spread the love

অসহায় সাংবাদিকদের পাশে সর্বদা মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব

নিউজ ডেস্ক, অয়ন বাংলা:- সাধারণ মানুষের মধ্যে সব সময় পুলিশের প্রতি নেতিবাচক ধারণা ।এবং আছে সমালোচনা, ভয়-ভীতি কিন্তু খারাপের মধ্যেও যে ভালো থাকে সেটা না দেখলে বোঝা যায় না যেমনঃ কোরাল পৃথিবীর সবথেকে মূল্যবান জিনিস। সবাই কিন্তু এটা খালি চোখে সহজে দেখতে পাইনা। কারণ এগুলো সমুদ্রের তলায় থাকে বলে। তেমনি পুলিশ বিভাগেও এখনো কিছু আইপিএস অফিসার আছেন যাদেরকে কোরালের সঙ্গেও তুলনা করা যায়। এবং যাদের আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনা। মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ মানুষের মন থেকে পুলিশ ভীতি দূর করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রথম থেকেই এবং করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীকে নিয়ম শৃঙ্খলা অনুযায়ী খুব সুন্দর ভাবে পরিষেবা দিচ্ছেন। ভালো কাজ করার ইচ্ছে থাকলে ভালো কাজ করা যায় এবং তার মূল্যায়নের পুরস্কারও পাওয়া যায়। কিন্তু পুরুস্কার ছাড়াই তিনি সেটা বুঝিয়ে দিলেন যে ভালো কাজ করার ইচ্ছে থাকলে ,ভালো কাজ করা যায়। তিনি হলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার শ্রী অজিত সিং যাদব। তিনি একজন প্রকৃত সৎ, সাহসী পুলিশ অফিসার ছাড়াও, একজন প্রকৃত মানুষ। দেশ জুড়ে এই সময় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। চলছে লকডাউন, বন্ধ স্কুল, কলেজ । সরকারিভাবে শুরু হয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সচেতনতা। তারমধ্যেই কারোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার রাতদিন মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলেছেন।একদিকে গ্রীষ্মকালে রক্তের চাহিদা থাকে, আবার রক্তের সংকটও দেখা যায়। তাছাড়া মানুষ এখন ঘর বন্দী। রুগীদের রক্তের প্রয়োজনে মানুষ যাবে কোথায়? কোথায় পাবে রক্ত? সেই উদ্দেশ্যে নিয়ে মুর্শিদাবাদজেলা পুলিশ সুপার মুর্শিদাবাদের প্রত্যেকটা থানায় থানায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে চলেছেন।স্বেচ্ছায় রক্ত দিচ্ছেন ছোট, বড়ো পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে সিভিক ভলেন্টিয়ারস সহ সকল জনসাধারণ। ইতিমধ্যেই রক্তদানের শিবির হয়েছে খরগ্রাম, দৌলতাবাদ, মুর্শিদাবাদ, বেলডাঙ্গা, শক্তিপুর সহ জেলার একাধিক থানায়। এছাড়া মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন থানায় সামাজিক দ্রুত নিশ্চিত করতে মার্কেট স্থানান্তর করা হয় মুদি দোকান থেকে সবজি, রেশন ইত্যাদি। এছাড়া যারা আজ এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থেকে রাত দিন প্রচার করে চলেছে একশ্রেণীর মানুষ বা মিডিয়া যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ বিশ্বের খবরাখবর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে আমরা পাই কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে দুস্থ সাংবাদিক অসহায় পরিবার আছে, এবং সাংবাদিক হিসেবে কাজ করে চলেছে কিন্তু তাদের কথা কেউ না ভাবলেও মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার অন্তত একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই সব দুস্থ সাংবাদিক গুলোর জন্যে।ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতি বাশিরুল হক এর কথা মত।অসহায় ও দুস্থ সাংবাদিক প্রত্যেক সাংবাদিক পরিবারকে ২০০০ টাকা করে দিয়েছেন পুলিশ সুপার নিজেই! পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব এতটাই মানবিক যে অসহায় মানুষের পাশে এবং অসহায় সাংবাদিকদের পাশে নিজের মাস মাইনেম অর্থ থেকে অর্থ থেকে দান করে যাচ্ছেন।শুধু তাইনা একদিকে মাদক নির্মূল এবং অন্যদিকে সন্ত্রাস দমনে জেলা পুলিশ সুপার শ্রী অজিত শিং যাদব বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি জনগণের সমস্যা, অভাব অভিযোগ পেলেই তিনি তার তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেন। পুলিশ জনসাধারণের বন্ধু এবং পুলিশ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকে, সেটা জেলা পুলিশ সুপার জেলাবাসীকে প্রতিনিয়ত দেখিয়েই চলেছেন আমাদের চক্ষুড়ালে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে । এছাড়াও তিনি এই করোনা ভাইরাসের কঠিন পরিস্থিতিতে জেলার কোনো অসহায় দরিদ্র পরিবার যাতে কেউ না খেয়ে মারা যায় তারদিকে সর্বদাই নজর রেখে চলেছেন বিভিন্ন থানার সহযোগিতার মাধ্যমে। দরিদ্র ও অসহায় পরিবারকে চাল,ডাল বিতরণ করছেন অনবরত। এমনকি রাস্তায় বা ফুটপাতে পড়ে থাকা অসহায় মানুষগুলোর প্রতি তিনি সর্বদাই খাদ্য জুগিয়ে চলেছেন। জেলাবাসী আজ গর্বিত এই রকম একজন দায়িত্ববান, সত ও সাহসী পুলিশ শুপার পেয়ে।সবকিছু জানার পরে ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর এসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার ও রাজ্য সভাপতি দেবাংশু চক্রবর্তীর একই কথা বলেছেন, জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর, স্বামী বিবেকানন্দ এই কথাটাই আজ প্রমাণিত করে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.