*দুঃস্থ* *সাংবাদিকদের* *চাল* , *ডাল* , *আলু* *বিতরণ* *নিয়ে* *উঠছে* *স্বচ্ছতার* *প্রশ্ন* *ও* *স্বজন* *পোষণের* *অভিযোগ*
পরিমল কর্মকার : লকডাউনের বন্দীদশায় অধিকাংশ মানুষেরই জীবন জীবিকা বিপন্ন। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলির মতোই আঞ্চলিক পত্র পত্রিকার অধিকাংশ সাংবাদিকেরই অন্ন সংস্থান এখন বিপর্যয়ের মুখে। এদের এই দুর্দশায় সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি তারা কিছু দুঃস্থ সাংবাদিককে চাল, ডাল, আলু ইত্যাদি বিতরণ করে। তবে এই বিতরণ নিয়েও উঠছে স্বচ্ছতার প্রশ্ন ও স্বজনপোষণের বিস্তর অভিযোগ।
প্রসঙ্গত:,লকডাউনের টানা বন্ধের জেরে আঞ্চলিক পত্রপত্রিকাগুলির অধিকাংশ সম্পাদক ও সাংবাদিকেরা চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, এটা জানার পর এই রকম বেশ কিছু দুর্দশাগ্রস্ত সাংবাদিককে সম্প্রতি চাল, ডাল, আলু ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসন। তবে এই বন্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব ও স্বজনপোষনের অভিযোগ তুলেছেন জেলারই বেশ কিছু সাংবাদিক।
অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের ধামা ধরা কিছু সাংবাদিক এই বন্টন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারা জেলা প্রশাসনকে সাংবাদিকদের নামের একটি তালিকা দিয়েছিলেন। ওই তালিকায় স্বজন পোষণ হয়েছিল বলে অভিযোগ। জেলায় যেসব পরিচিত সাংবাদিক আছেন তাদের অনেকেরই নাম নেই ওই তালিকায়। এমন কি বেশ কিছু সাংবাদিককে এই ত্রাণের বিষয় কিছুই জানানো হয়নি।
তারপরও রয়েছে ভূরি ভূরি অভিযোগ। প্রশাসনের কাছে দেওয়া তালিকার কিছু সাংবাদিক পেয়েছেন ২৫ কেজি করে চাল। আবার কিছু সাংবাদিক পেয়েছেন ৫ কেজি করে চাল। খাদ্যদ্রব্য বিতরণে এই বিভেদ কেন ? এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কিছু সাংবাদিক।
উপরন্তু চাল, ডাল, আলু ইত্যাদি “রিসিভ”এর ব্যাপারে অধিকাংশ সাংবাদিকদের কাছ থেকে কোনও স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। সরকারি কোনও জিনিস কাউকে দিলে তার হিসেব রাখার জন্য স্বাক্ষর আবশ্যিক। কিন্তু তা করা হয়নি বলে অভিযোগ।
উপরন্তু সমগোত্রীয় ব্যক্তিদের মধ্যে সরকারি জিনিস কাউকে ২৫ কেজি, আবার কাউকে ৫ কেজি দেওয়ার অর্থ কি ? সেটা নিয়েও উঠছে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই এব্যাপারে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে কয়েক জন সাংবাদিককের নাম উল্লেখ করে স্বজনপোষণের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। জেলারই একটি আঞ্চলিক পত্রিকা উচ্চ পর্যায়ে খোঁজখবর করছে বলে জানা গিয়েছে।
(এই বিষয়ে বিশদ সংবাদ পরবর্তীতে)
জেলা প্রশাসনের কোন বক্তব্য নেই l ফালতু খবর হল l