অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:- জ্যোতিষ বিজ্ঞানের চেয়ে উন্নত ,আগের বার সংসদে বলায় ,তিনি আজ শিক্ষা মন্ত্রী ,শোনা যাচ্ছে উনার ডিগ্রীটাও না কি জাল? এ কেমন কলিকাল । এই গুণধর শিক্ষামন্ত্রীর নাম রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মন্ত্রীরা। এরপর শুক্রবার দুপুরে বণ্টন করা হয় দপ্তর। নয়া মন্ত্রিসভায় মানবসম্পদ মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হয়েছেন রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের হাতেই থাকে শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব। প্রকারান্তরে শিক্ষামন্ত্রীই নির্বাচিত হয়েছেন হরিদ্বারের বিজেপি সাংসদ। প্রকাশ জাভড়েকরের হাত থেকে শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু যিনি শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব নিচ্ছেন তাঁর নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। নামের আগে ‘ডক্টর’ উপাধি ব্যবহার করেন রমেশ পোখরিয়াল। তাঁর দাবি, শ্রীলঙ্কার ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাঁকে জোড়া ডক্টরেট খেতাব দিয়েছে। ৯০–এর দশকে একবার সাহিত্যে অবদানের জন্য সেখান থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি পেয়েছিলেন। এরপর কয়েক বছর আগে ওই একই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে বিজ্ঞানে অবদানের জন্য আবারও সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি দিয়েছিল। যদিও ওই নামে শ্রীলঙ্কায় কোনও রেজিস্টার্ড বিশ্ববিদ্যালয় নেই বলে দাবি একাধিক সংবাদমাধ্যমের।
পোখরিয়ালকে ঘিরে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। বিগত সরকার থাকাকালীন সংসদে তাঁর একটি বক্তব্য নিয়ে বেজায় শোরগোল পড়েছিল। সংসদে দাঁড়িয়েই পোখরিয়াল মন্তব্য করেন, জ্যোতিষবিদ্যা নাকি বিজ্ঞানের চেয়ে এগিয়ে। যা নিয়ে রীতিমতো হাসির রোল পড়ে যায়। আলোচনায় তৎকালীন সাংসদ নিশাঙ্ক বলেছিলেন, ‘জ্যোতিষচর্চার কাছে বিজ্ঞান কিছুই নয়, তুচ্ছ ব্যাপার! জ্যোতিষচর্চাই হল সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের থেকেও এটা বড় বিষয়। আমাদের সত্যিই বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা উচিত।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমরা আজকাল পরমাণু বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু লক্ষ বছর আগেই কণাদ পরমাণু পরীক্ষা করেছিলেন। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জ্ঞানও অনেক দিন আগে থেকে রয়েছে আমাদের।’ এই গুণধর শিক্ষা মন্ত্রীর কাছ থেকে অনেক কিছুই নতুন শিক্ষা পাওয়া যাবে এবার।