তিনজন দুঃস্থ পড়ুয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন জঙ্গিপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ

Spread the love

শাহজাদ হোসেন,অয়ন বাংলা, ফরাক্কা,মুর্শিদাবাদ :-লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিতেই জনগণের পাশে থাকার প্রচেষ্ঠা শুরু করলেন সাংসদ খলিলুর রহমান । জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার সাংসদ হয়ে সকলের মন জয় করলেন শিল্পপতি খলিলুর রহমান। সম্প্রতি সুতি বিধানসভা এলাকায় নজরকাড়া রেজাল্ট করার জন্য তিন অসহায় দারিদ্র ঘরের ছাত্রীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন তিনি। এই প্রথম কোনও সাংসদ এভাবে অভাবী মেধাবী পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোয় স্বভাবতই খলিলুর রহমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জঙ্গিপুরবাসী। খুশি ওই ছাত্রীদের পরিবারও।সুতি থানার হাঁপানিয়া গ্রামের নিতান্ত দরিদ্র ঘরের মেয়ে সোনামনি দাস। বাবা সূর্যকান্ত দাস পেশায় সাইকেল মেকানিক। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে পড়াশোনা যেন বাড়তি চাপে পরিণত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু শত কষ্ট দারিদ্রতাকে সত্ত্বেও এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে সোনামণি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৯। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে কীভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে, তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিল মেধাবী ছাত্রীটি।  সুতি ব্লকেরই তাঁতিপাড়া এলাকার তাঁতি পরিবারের মেয়ে শিল্পশ্রী দাসের পরিস্থিতি একইরকম। তাঁত শিল্পে মন্দা চলায় শিল্পশ্রীর বাবা গৌতম দাস পেশা বদলে এখন বিড়ি শ্রমিক। এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৫৯ নম্বর নম্বর পেয়েছে শিল্পশ্রী।দারিদ্রতার চাপে যখন পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, ঠিক তখনই সোনামনি ও শিল্পশ্রীর পাশে দাঁড়ালেন জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান। স্রেফ ওই দুই মেধাবী ছাত্রীরই নয়, সোহেলী খাতুন নামে আরও একজনেরও পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। সোহেলীর বাবা রাজীব শেখ পেশায় টোটো চালক। আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের সংবর্ধনা দিয়ে কৃতি ছাত্রীদের পড়াশোনার দায়ভার গ্রহণ করেন খলিলুর রহমান। পরে তিনি জানান, ‘বিড়ি শ্রমিক রাজমিস্ত্রি অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার আঙিনায় নিয়ে আসতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব। আমি শুধুমাত্র এই তিন জন ছাত্রীর দায়িত্বই নয়, জঙ্গিপুর লোকসভার দারিদ্র মেয়েরা যেন অর্থের অভাবে কেউ পড়াশোনা ছেড়ে না দেয় তার ব্যবস্থাও করব।’  অন্যদিকে সাংসদ খলিলুর রহমানের সান্নিধ্য পেয়ে গর্বিত ছাত্রীরা জানান, ‘এত ভালো করে রেজাল্ট করেও অর্থের অভাবে যখন পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল ঠিক তখনই এভাবে দেবদূতের মতো পাশে দাঁড়ালেন সাংসদ। তাঁর এই অবদান কখনও ভুলব না।’ এলাকার উন্নয়নে যেন সবসময় পাশে থাকেন এই আশা এখন আম জনতার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.