ক্ষতি নেই
অপরাজিতা
ক্ষতি নেই
বদলে যাক সমস্ত অলিগলি সহ,
আমার সাধের ভারতবর্ষের নাম।
বিলীন হয়ে যাক
পৃথিবীর মানচিত্র থেকে,
সাধের জন্মভূমি ভারত বর্ষ ।
জন্ম হোক এক নতুন নামের।
ক্ষতি নেই।
ক্ষতি নেই গুড়িয়ে যাক
বাবরি মসজিদের মতো ঐতিহাসিক লালকেল্লাও !
ধুলিস্যাৎ হোক নিউ ইয়র্কের অত্যাধুনিক টাওয়ার যুগলের মতো কুতুবমিনারও!
ডাইনোসরের মতো পৃথিবীর বুক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাক,
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এক অতিআশ্চর্য মোদের গর্বের তাজমহল খানিও।
কিন্তু তাতে কি হবে?
একশো ত্রিশ কোটি ভারতবাসীর ক্ষুধা নিবারণের সংহার?
দূর হবে তো শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের বেকারত্বের জ্বালা?
একমুঠো অন্নের জন্য, অসহায় মাকে বেচতে হবে না তো তার কলিজার টুকরো সদ্যজাতকে?
ঋণের জ্বালা বুকে নিয়ে আজিকার কৃষকে আত্মহত্যা করিতে হবে না তো আর ?
যে সাম্প্রদায়িকতার বিষে বাতাস আজ ভারী হয়ে উঠেছে!
শুধু নাম পাল্টালেই মিটবে তো তার দূষণ?
সকল বিভেদ ভুলে ফুটবে কি আবার একই বৃন্তে দুটি কুড়ি রাম-রহিম হয়ে ? আকাশ বাতাস ভরে গেছে আজি মানুষের আর্তনাদে।
চোখের সামনে ভেসে উঠছে মানুষের ঝলসানো দেহ,
লাঞ্ছিত মনুষত্ববোধ, ধর্ষিত মানবতা। স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে!
নাম পাল্টালেই পাল্টে যাবে তো এসব কিছু?
জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন পাবে তো আবার নাম না জানা নতুন দেশ? যদি পাই ক্ষতি নেই।
ক্ষতি নেই বদলে যাক অলিগলি সহ ভারতবর্ষের নাম।
সমাপ্ত