অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেও মিলল না কোন সমাধান ,কৃষকরা কৃষিবিলের বাতিলের দাবীতে অনড়

Spread the love

ওয়েব ডেস্ক :-  কেন্দ্রের অনমনীয় মনোভাবে আদৌ রফাসূত্র বেরোবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। রফার খোঁজে নিজে উদ্যোগী হয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু, তিনি পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের কোনও প্রশ্ন নেই। কৃষক নেতারা এই উত্তরটুকুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মুখ থেকে শুনতে চেয়েছিলেন। এদিন বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই কৃষক নেতারা বলেন, কেন্দ্রকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এ জানাতে হবে তারা কৃষি আইন বাতিলে রাজি কি না। সেই জবাব কৃষক নেতারা পেয়ে গিয়েছেন। এর পর, আন্দোলনের সুর আরও চড়ে কি না, তা দেখার জন্য সামনের আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। বুধবারের নির্ধারিত বৈঠকও বাতিল হয়ে গিয়েছে।

সারা ভারত কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ৯ ডিসেম্বর, বুধবার কেন্দ্রের সঙ্গে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। কেন্দ্রের তরফে বুধবার কয়েকটি প্রস্তাব কৃষক নেতাদের সামনে পেশ করা হবে। সেই প্রস্তাব পর্যালোচনায় কৃষক নেতারা বৈঠকে বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে হান্নান মোল্লা জানান, বিতর্কিত কৃষি আইন ফিরিয়ে নিতে সরকার তৈরি নয়। বুধবার বেলা ১২টায় সিংঘু সীমানায় কৃষক নেতারা বৈঠকে বসবেন। কৃষক নেতারা এখনও পর্যন্ত তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। তিনটি আইন সম্পূর্ণ রূপে প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের উপর তাঁরা চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। কিন্তু, কেন্দ্র দুটি সংশোধনে রাজি হলেও এই আইন প্রত্যাহার করতে নারাজ। কৃষকদের এই বিক্ষোভের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদী কৃষি সংস্কারের পক্ষেই সওয়াল করে গিয়েছেন।

মঙ্গলবার ১৩ কৃষক ইউনিয়নের নেতার সঙ্গে বৈঠক হয় শাহের। প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে পুসা এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে এই বৈঠক হয়েছে। অনেক নেতাই এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। ফলে, কৃষক নেতাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়।

দু’পক্ষের অনড় মনোভাবে পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে খুব শিগগির সুরাহা দেখছেন না পর্যবেক্ষকেরা। দাবি না আদায় করে কৃষকরা যে পিছু হটবেন, এমনটাও মনে হয় না। তবে, সিংঘু বর্ডারে লাগাতার বিক্ষোভের জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। তাই বিক্ষোভস্থল রামলীলা ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক কৃষক নেতারা। পঞ্জাব কিষাণ ইউনিয়নের নেতা আরএস মানসা বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের সমস্যার সৃষ্টি করতে চাই না বলেই দিল্লির রামলীলা ময়দানে যেতে চেয়েছি। সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।

আর এক কৃষক নেতা গুরনাম সিং চাধুনি ভারত বন্‌ধকে সফল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘সরকার আশাকরি বুঝে গিয়েছে তাদের আর উপায় নেই।’

 

সৌজন্য :- এই সময় পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.