অয়ন বাংলা ,পাঠকের কলাম জিম নওয়াজ:- প্রায় তিনমাস ধরে এন আর সি বিষয়ক নানান সেমিনার, মিটিং-এ উপস্থিত হয়েছি। বক্তব্য দিয়েছি। কোথাও কোথাও প্রায় দেড় থেকে দু’ঘটা বক্তব্য দিতে হয়েছে শ্রোতাদের অনুরোধে। এগুলির জন্য আমায় রীতিমতো পড়াশোনা করতে হয়েছে এবং করেছি। একইসাথে মানুষকে তার ডেটা বা পরিচয়পত্র বিষয়ক সহায়তার জন্য sahojogita.com এর জন্য লাগাতার কাজ করে চলেছি। ফলে প্রয়োজনের তাগিদে কিছুটা হলেও জ্ঞানার্জন করেছি, করে চলেছি।
কিন্তু যখন দেখি, কিছু মানুষ ভ্রান্ত ধারণার শিকার হয়ে এন আর সি নিয়ে নিজেরাও যেমন ভীত হচ্ছেন, তেমনি অন্যদেরও ভীতসন্ত্রস্ত করে চলেছেন, তখন হাসি পায় না, খুব আফসোস হয়। যারা কেন্দ্র সরকারের ২০১৯ এর ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারকে এন আর সি অর্থাৎ ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অফ সিটিজেনস বলে চালাচ্ছেন তাদের উপরও খুব আফসোস হয়। অনেক আইনজীবীকেও একই ধারণা পোষণ করতে দেখছি। এইসমস্ত আইনজীবীদের এই বিষয়ে দুরাবস্থা দেখে সত্যিই করুণা হচ্ছে। আমার মনে হয়, এবিষয়ে তাদের আরও বেশি পড়াশোনা করা দরকার।
যাইহোক, যারা ২০১৯ সালের পপুলেশন রেজিস্ট্রার এর গেজেট নোটিফিকেশনকে বিজেপি সরকার কর্তৃক এন আর সি-র প্রথম ধাপ বলছেন, তাদের জন্য ২০০৯ সালের নোটিফিকেশনের স্ক্রিনশট রইল। দুটো নোটিফিকেশনের বয়ান একই। তাহলে কি কংগ্রেস সরকারই এন আর সি-র জন্য ২০০৯ সালে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিলো!
স্ক্রিনশট দুটি দেখে মিলিয়ে নিন। সেইসাথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা, একটি জাতিগোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখলে সেই জাতিগোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে শাসন ও শোষণ করতে সুবিধা হয়। এখন ভেবে দেখুন, আপনাদের ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখার পেছনে কারা থাকতে পারে!
লিখেছেন:- জিম নওয়াজ