এন পি আর এর বাড়তি আটটি প্রশ্ন কেন ? কোন সদুত্তর নেই স্বরাষ্ট্র সচিবের

Spread the love

ওয়েব ডেস্ক:- বির্তক পিছু ছাড়ছে না,স্বরষ্ট্র দফতরের এন পি আর এর বাড়তি আটটি প্রশ্নের কোন সদুত্তর নেই । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিভিন্ন প্রকল্পে বাজেটে অর্থ বরাদ্দের ফিরিস্তি জানাতে এসে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিরোধী সাংসদদের কাছে এনপিআর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। প্রশ্ন উঠল, কী কারণে, কোন যুক্তিতে জোড়া হয়েছে বাড়তি আটটি প্রশ্ন। দেশ জুড়ে এনপিআর ঘিরে প্রবল বিতর্ক চলছে। এই অবস্থায় আজ বিরোধী সাংসদদের প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি স্বরাষ্ট্রসচিব। ধোঁয়াশা কাটতে ব্যর্থ হন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাও।

বাজেট পেশ হওয়ার পরে আজই ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক। আজকের বৈঠকে মূলত মন্ত্রকের কোন প্রকল্পে কত অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, সে বিষয়ে জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব। সূত্রের মতে, বৈঠকে এনপিআর খাতে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র কর্তারা মুখ খুলতেই চেপে ধরেন বিরোধী দলের সাংসদ দয়ানিধি মারান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অধীর চৌধুরীরা। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, দশ বছর আগের এনপিআর-এর নিয়মে এ বার পরিবর্তন করা হয়েছে। যোগ করা হয়েছে নতুন আটটি প্রশ্ন। যার মধ্যে রয়েছে, উত্তরদাতার মাতৃভাষা কি, উত্তরদাতার বাবা মা কোথায় জন্মেছেন, কত সালে জন্মেছেন জাতীয় একাধিক বিতর্কিত প্রশ্ন। যে প্রশ্নগুলি নিয়ে কেবল বিরোধীরাই নন, আপত্তি তুলেছেন শরিক দলের রামবিলাস পাসোয়ানের মতো নেতাও।

নতুন এনপিআরে ওই বিতর্কিত প্রশ্নগুলি যোগ করার কী প্রয়োজন ছিল, তা নিয়ে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিবের ব্যাখ্যা দাবি করেন বিরোধী সাংসদেরা। সূত্রের মতে, এ নিয়ে সরাসরি কোনও জবাব দিতে পারেননি স্বরাষ্ট্রসচিব। শুধু বলা হয়, ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া আবশ্যিক নয়। কোনও নাগরিক এ নিয়ে উত্তর দিতে না চাইলে তাঁকে জোর করা হবে না। সূত্রের বক্তব্য, সরকারি নথিতে কারও উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি নথিভুক্ত হয়ে থাকবে। যা পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে কেন্দ্রের। বিশেষ করে যেখানে সরকারের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, এনপিআর হল এনআরসি-র প্রথম ধাপ। সেই কারণে বিরোধী শাসিত পশ্চিমবঙ্গ, কেরলের মতো একাধিক রাজ্য এনপিআর করবে না বলে অবস্থান নিয়েছে।

গোটা দেশ যখন আন্দোলনে সি এ এ.এন পি আর.এন আর সি নিয়ে তখন খুব গুরত্ব পূর্ণ এই প্রশ্ন গুলি।

সৌজন্য:- আনন্দ বাজর পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.