ওয়েবডেস্ক: সরকার বুঝতে পারেনি নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এমন চেহারা নেবে৷ এই কারণে তারা এখন আইনের ভুল ব্যাখ্যা করছে৷ একথা খোদ বিজেপির এক নেতার৷ ২০১৪ সালে প্রথম মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই প্রথম এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়নি৷ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য যে আইন করেছে মোদী সরকার, তা নিয়ে উত্তাল দেশ৷ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এই নিয়ে এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা৷ এক বিজেপি নেতার কথায়, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে৷
সূত্রের খবর, এখন দল এবং সরকার ক্রাইসিস ম্যানেজ করতে উঠে পড়ে লেগেছে৷ গত মাসে বিল পাশ করার সময় বিরোধীদের সাইডলাইনে পাঠিয়ে দিয়েছিল সরকার৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালান বলেন, আমি এবং অন্যান্য বিজেপি নেতা বুঝতে পারিনি এমন প্রতিবাদ হতে পারে৷ সূত্রের খবর, বিজেপির অন্দরে এই বিক্ষোভের কারণ নিয়ে কাটাছেঁড়া হচ্ছে৷ তাতে একটা কথা বারবার উঠে আসছে, অর্থনীতির বেহাল দশা, বেকারত্বের সমস্যা সমাধান না করে সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইন করানোর উদ্যোগ নেয়৷ এতেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়৷
শুধু মুসলিমরা নন, পড়ুয়া, রাজনীতিক, সমাজকর্মী, সকলে একযোগে রাস্তায় নেমে এসেছেন৷ মোদী সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র নষ্ট করছে বলে তাঁরা সরব হন৷ এক আরএসএস নেতার কথায়, হিংসাত্মক প্রতবাদ হচ্ছে, কারণ আইন সম্পর্কে যথাযথ বোঝানো হয়নি, তার জন্য নয়, বরং বলা ভালো ভুল বোঝানো হয়েছে৷ কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চৌহান বলেন, ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম ধর্মের ভিত্তিতে আইন তৈরি হল৷ হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করার দিকে এগোচ্ছে সরকার৷
সৌজন্য:- Mahangar