ইতিহাসে প্রথমবার তেলের দাম শূন্যের নিচেে
বিশ্ববাজারে তলানিতে তেলের দাম, অথচ ৭০-এর নীচে নামতে নারাজ সরকার, ক্ষুব্ধ বিরোধীরা
নিউজ ডেস্ক:- করোনা ভাইরাস বিশ্ব বাজারে তেলের দাম একাবারে তলানীতে এনে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে তেলের চাহিদা অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়ায় আমেরিকায় তেলের দাম শূন্যের নিচে । এমনকি এমন অবস্থা তেলের ভান্ডার খালি করার জন্য ক্রেতাকে তেলের পাশাপাশি কিছু ডলার দেওয়ার মতন পরিস্থিতি।
সোমবার আমেরিকার বাজারে ওয়েস্ট টেক্সাস তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলারে দাঁড়ায়।
বিশ্ব বাজারে হুড়মুড়িয়ে নামছে তেলের দাম। করোনার জেরে অপরিশোধিত তেলের বাজারেও দেখা গিয়েছে চরম মন্দা। কমতে কমতে সর্বনিম্ন রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে দাম। অথচ সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করতে রাজি নয় ভারত সরকার। ভাবখানা এমন যেন যা ছিল তাই আছে। কোথায় দাম কমেছে? এহেন পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন বিরোধীরা।
সোমবারে আমেরিকার শেয়ারবাজারে তেলের দাম নেমেছে হুড়মুড়িয়ে। কমতে কমতে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম দাঁড়ায় ১৫ ডলার। পরে এটাই নেমে যায় একেবারে শূন্য ডলারে। সৌদি আরব থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করে সেখানকার সরকার। তবে বিশ্ববাজারে এভাবে তেলের দাম কমলেও ভারতে তেলের দাম কমাতে নারাজ মোদী সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠতে দেখা যায় বিরোধী সাংসদদের এদিন টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর লেখেন, ‘এই সরকার নির্লজ্জ। মানুষের কথা ভাবার সময় নেই এদের। গোটা বিশ্বে তেলের দাম সর্বনিম্ন। অথচ ভারতের মানুষ এর কোনও সুবিধাই পাচ্ছে না।
কিন্তু কেন এভাবে দাম কমতে শুরু করেছে তেলের? কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, করোনার ছেড়ে বিশ্বজুড়ে কার্যত চলছে লকডাউন। যার ফলে ব্যাপকভাবে কমেছে তেলের চাহিদা। হুড়মুড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে তেলের শেয়ার। গোটা ঘটনায় প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তেল উৎপাদন। তাতেও আয়ত্তে আসছে না পরিস্থিতি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ পরিস্থিতি এখনই ঠিক হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই আগামী কয়েক দিনে আরও কমবে দাম। যদিও বিশ্ববাজারে দাম কমলেও ভারত সরকার তেলের দাম কমাতে একেবারেই নারাজ।