শুধুই ‘মন কি বাত’ মে থেকে আগষ্টে ৬৬ লক্ষ উচ্চ বেতনভুক কর্মচারী ছাঁটাই! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ

Spread the love

আর্থিক মন্দায় হিমশিম মোদি সরকার: মে থেকে অগাস্টেই ৬৬ লক্ষ উচ্চ বেতনভুক কর্মচারী ছাঁটাই! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক  :   লকডাউনের জেরে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। থমকে গিয়েছে উৎপাদন। কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক। স্রেফ শ্রমিকই নয়, কাজ হারিয়েছেন  বহু অন্য পেশাদাররাও। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি -র সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, লকডাউনে চাকরি খুইয়েছেন ৬০ লক্ষ ‘হোয়াইট কলার’ কর্মী। মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত তথ্য রয়েছে রিপোর্টে।   ক্রমেই করোনা গ্রাসে তলিয়ে যাচ্চে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বধীন গোটা দেশ। যেখানে বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার কথা ছিল সেখানে তীব্র আর্থিক মন্দায় কাজ হারিয়ে বেকার হয়েছেন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ। সদ্য প্রকাশিত সেন্টার ফর মনিটারিং ইণ্ডিয়ান ইকোনমিক বা সিএমআইই-র রিপোর্ট মোতাবেক বর্তমানে দেশের বেকারত্বের জাতীয় গড় দাঁড়িয়েছে ৮.৩৫ শতাংশে। এবার এই খাতে আরও আশঙ্কার কথা শোনাতে দেখা গেল সিএমআইইকে।

সদ্য প্রকাশিত অপর একটি সিএমআইই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে মে থেকে অগাস্টের মধ্যে গোটা দেশে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৬৬ লক্ষ উচ্চ বেতনভুক কর্মচারীরা। যাদের মধ্যে রয়েছেন চিকিতসক, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার সহ আরও একাধিক পেশার মানুষ। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পর থেকেই সমস্ত ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ কার্যত তলানিতে এসে ঠেকে।

 

সিএমআইই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জানুয়ারি-এপ্রিল ২০১৬-তে দেশে উচ্চপদস্থ চাকুরিজীবীর সংখ্যা ছিল ১.২৫ কোটি। সেটা মে-অগস্ট ২০১৯ সালে গিয়ে হয়েছিল ১.৮৮ কোটি। সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৯ এ এই সংখ্যাটি ছিল ১.৮৭ কোটি। এরপর জানুয়ারি-এপ্রিল মাসে এই পরিসংখ্যান কমে হয় ১.৮১ কোটি। তবে সবচেয়ে চমকে দেওয়া তথ্য মিলেছে ২০২০ সালের মে-আগস্ট মাসে। এই চার মাসে বিভিন্ন পেশার পদস্থ কর্মীর সংখ্যা কমে হয়েছে ১.২২ কোটি। অর্থাৎ করোনার জেরে ৫৯ লক্ষ পেশাদার চাকরি হারিয়েছেন। সেখানে আরও বলা হয়েছে, গত বছরের একই সময়কালের তুলনায় প্রায় ৬৬ লক্ষ চাকরি কমেছে। বেকারত্ব বেড়েছে ২৬ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানটি তাও শুধু যারা কোনও সংস্থায় চাকরি করতেন তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

এদিকে করোনাকালে অসংগঠিত ক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য বেতনভুক কর্মীদের মধ্যে ২ কোটিরও বেশি মানুষ কাজ হারান বলে জানা যায়। বর্তমান রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যার সিংহভাগই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। সব থেকে বেশি কাজ গেছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, চিকিত্সক, শিক্ষক, হিসাবরক্ষকদের। যদিও এই খাতে নতুন উদ্যোগপতিদের করুণ অবস্থার কথা উল্লেখ করলে তালিকা যে আরও দীর্ঘ হবে তা বলাই বাহুল্য।

এই বছরে শুধু এপ্রিল মাসেই ভারতে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২.৭ কোটি ভারতীয় তরুণ-তরুণী। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা সিএমআইই।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.