জিয়াগঞ্জের ঘটনার সাথে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ইস্যুর যোগ নেই বলে ধারণা পুলিশের, প্রকাশ পাল আরএসএসের সদস্য ছিলেন না বলে দাবি দাদার
নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা, মুর্শিদাবাদ:- ঘরের মধ্যে স্বামী, স্ত্রী, সন্তানের গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ। দশমীর সকালে এমন দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিলেন পড়শিরা। ঘটনাটির মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের। মৃতরা হলেন ৩৩ বছর বয়সি প্রকাশ পাল, স্ত্রী ২৮ বছর বয়সি বিউটি পাল ও ৬ বছরের ছেলে আর্য পাল। জিয়াগঞ্জের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুবাগানের ঘটনা। সেই খুনের তদন্তে এবার উঠে এসেছে নতুন নতুন তথ্য। মৃত গৃহবধূ বিউটি মণ্ডল অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আর প্রকাশ আরএসএসের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে প্রকাশ পালের দাদা জানিয়েছেন, তাঁর ভাই আরএসএস করতেন না, তবে চাঁদা দিতেন।
জিয়াগঞ্জের ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডের শিকড় কি আসলে লুকিয়ে আছে বীরভূমের রামপুরহাটে? তদন্তকারীদের গতিবিধি অন্তত সেই কথাই বলছে। শুক্রবার জিয়াগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের তদন্তসূত্রে বীরভূমের রামপুরহাটে গেল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের একটি দল। সেখানকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শৌভিক বণিক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে যান লালবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বরুণ বৈদ্যের নেতৃত্বে তদন্তকারী পুলিশের দল। পুলিশ সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তদন্তে একটা বিষয় পরিষ্কার, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই খুন বলে এখনও পর্যন্ত অনুমান পুলিশের। ইতিমধ্যেই দুজনকে আটক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সিআইডি-কেও তদন্তে যুক্ত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই খবর।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকাতেই বাড়ি জিয়াগঞ্জে খুন হওয়া প্রকাশ পালের শ্বশুরবাড়ি। তাই সেখানে তদন্তে যাওয়া মানে তবে কি সম্পর্কের কোনও জটিল দিকই সামনে আসছে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে? এখনও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি তদন্তকারীরা। যাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে যায় পুলিশ, সেই শৌভিক বণিক দীর্ঘদিন বাড়িতে ফেরেননি বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। সে কোথায় থাকে, তাও জানে না বাড়ির কেউ। স্বভাবতই দানা বাঁধছে রহস্য। প্রায় দু’ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তদন্তকারীরা।
সৌজন্য :-বেঙ্গল রুির্পোট