নিউজ ডেস্ক :- ধাক্কা দিয়েছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ রাহুল গান্ধীকে ,তারপর গোটা দেশে চলল প্রতিবাদ .এবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী । হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গলাধাক্কা দিয়েছিল তাঁকে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী মঙ্গলবার পঞ্জাবে সেই প্রসঙ্গ তুললেন। বুঝিয়ে দিলেন, যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পুলিশের ওই আচরণ তিনি ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না। রাহুলের কথায়, ‘‘যদি আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয় তাতে কী-ই বা হয়েছে, আমাদের কাজ দেশকে রক্ষা করা।’’
পঞ্জাবের মোগায় রবিবার শুরু হওয়া ‘খেতি বাঁচাও যাত্রা’ নামে তিন দিনের ‘ট্রাক্টর র্যালি’-তে অংশ নিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। এ দিনই ছিল কর্মসূচির সমাপ্তি। ট্রাক্টর সওয়ারি রাহুল বলেন, ‘‘ওই সরকার (কেন্দ্র) গোটা দেশের মানুষকেই ধাক্কা দিয়ে কোণঠাসা করে দিয়েছে। তাই আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে কি না, সেটা কোনও বড় বিষয় নয়।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন হাথরস-কাণ্ড নিয়ে একটি কথা বলেননি, সে প্রশ্নও এ দিন তুলেছেন কেরলের ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ।
হাথরসে নিহত দলিত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় গত বৃহস্পতিবার যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কার বঢরা গাড়ি আটকেছিল। সে সময় এক পুলিশ অফিসারের ধাক্কায় রাহুলের মাটিতে পড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখেছে গোটা দেশ। কিন্তু রাহুল জানান, তাঁর ‘নিগ্রহের’ ঘটনার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্যাতিতার পরিবারের ধাক্কা। তিনি বলেন, ‘‘আমি ধাক্কা সহ্য করে নেব। কিন্তু আসলে ভয়ঙ্কর ধাক্কা খেয়েছে ওই পরিবার। যাঁদের বাড়িতে কন্যাসন্তান রয়েছে, তাঁরা পরিস্থিতিটা উপলব্ধি করতে পারবেন। আপনার মেয়েকে কেউ মেরে ফেলছে! আপনাকে আপনারই বাড়িতে তালা বন্ধ করে রাখা হচ্ছে! জেলাশাসক আপনাকে হুমকি দিচ্ছেন! ওই পরিবার যাতে নিজেদের একা না-ভাবে, তাই আমি সেখানে যাচ্ছিলাম।’’
শুধু রাহুল নন, শনিবার ফের হাথরসে যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নিগ্রহের শিকার হন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কাও। তাঁর কুর্তি ধরে টেনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন এক পুরুষ পুলিশকর্মী! কিন্তু এই রাহুল এ দিন জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ নয় তাঁর নজর বৃহত্তর সমস্যার নিরসনে। তাঁর অভিযোগ, সংসদে মোদী সরকারের পাশ করা তিনটি কৃষি বিল কৃষকদের সর্বস্বান্ত করবে। তাই ওই ‘কালা কানুন’ বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে কংগ্রেস।
সৌজন্য :- আনন্দ বাজার পত্রিকা