নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন কে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কল্যাণী স্টেশন। কলকাতা থেকে কল্যাণী, প্যারা টিচারদের আন্দোলনে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কল্যাণী মেন স্টেশন। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হয়েছেন অনেকেই। এই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন চিত্রসাংবাদিকও।
বেতনবৃদ্ধির দাবিতে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের আন্দোলন এবার আছড়ে পড়ল জেলাতেও। শনিবার সকালেই সল্টলেক থেকে বারাকপুর, নৈহাটিতে ঢুকে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের এই কর্মসূচির আগাম খবর থাকায় সজাগ ছিল পুলিশ প্রশাসন। তাই তাঁদের কোথাও অবস্থান বিক্ষোভ করতে দেখা হয়নি। এরপর বেলা ১১টা নাগাদ কল্যাণী মেন স্টেশনে পৌঁছে বিক্ষোভ শুরু করেন প্যারা টিচাররা। বিক্ষোভ ছড়ায় সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাসেও। পুলিশ দিনভর বারবার তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন অবস্থান বিক্ষোভ করার অনুমতি নেই, তাই তা করা যাবে না। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে কল্যাণী থানার পুলিশ। পালটা বিক্ষোভকারীদের তরফেও ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের তরফে ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয়। আহত হন বিক্ষোভকারীদের মহিলা সহ অনেকেই। আন্দোলনের অধিকার নিয়ে প্যারাটিচারদের পক্ষে দাঁড়ান আরও অনেকেই। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
শেষপর্যন্ত প্রায় আটটা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের স্টেশন চত্বর থেকে হঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এর আগেও সল্টলেকে প্যারাটিচারদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করতে হয়েছে। তবে এদিন কল্যাণীতে পুলিশের অত্যাচারে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
তৃনমূল পার্শ্ব শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোপাল দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বেঙ্গল রিপোর্টকে জানান, আমি পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা করছি, আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।