আর্থিক সাহায্য ও চাকরি স্থায়ীকরণের আর্জি, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পার্ট টাইম শিক্ষক সংগঠনের
আলমগীর মন্ডল,অয়ন বাংলা , কোলকাতা :- ক্রমেই বাড়ছে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। এই রাজ্যও ব্যতিক্রম নয়। সাধারণ মানুষ জীবন নিয়েই সংশয়ে। এরই মধ্যে লকডাউনের ফলে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ। এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও আধা সরকারি স্কুলে আংশিক সময়ের শিক্ষিকা-শিক্ষিকা হিসেবে যুক্ত যাঁরা, তাঁরা ঘোর সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন। লকডাউনের জেরে স্কুল, কলেজের পাশাপাশি গৃহশিক্ষকতার সুযোগও নেই তাঁদের।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আপৎকালীন সাহায্য ছাড়াও চাকরি স্থায়ীকরণের আবেদন জানিয়েছে তাঁদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ আংশিক সময়ের বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন (এসপিটিটিএ)।
করোনা পরিস্থিতি অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। দেশের সর্বত্র লকডাউন জারি হওয়ায় কাজে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। এই মুহূর্তে যেমন আয়ের সমস্ত উৎস বন্ধ, তেমনই ভবিষ্যতে কাজ আদৌ থাকবে কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।
এমনিতেই একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হবে। কর্মহীন হওয়ারও সম্ভাবনা দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় গুরুতর সমস্যার মুখে পড়েছেন এই রাজ্যের সরকারি ও আধা সরকারি স্কুলে কর্মরত আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এমনিতেই তাঁদের বেতন খুবই সামান্য। তার ওপর চাকরির স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এই অবস্থায় স্কুল বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক সমস্যার মুখে পড়ছেন তাঁরা। পাশাপাশি লকডাউনের জন্য গৃহশিক্ষকতার বিকল্প ব্যবস্থাও বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ আংশিক সময়ের বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনের (এসপিটিটিএ) তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আপৎকালীন সাহায্যের আর্জি জানানো হয়েছে।
শনিবার এই মর্মে লেখা আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ‘আমরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সরকারি এবং আধা সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে অতি সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বছরের পর বছর নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষকতা করছি। আমাদের কাজের কোনও স্থায়িত্ব নেই। বিশ্ব মহামারী করোনার জন্য সারা দেশে লক ডাউন চলছে। ফলে গৃহশিক্ষকতা করাও বন্ধ রেখেছি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।’ আর্থিক সাহায্য ছাড়াও চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়টিও বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।