পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রী কে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি প্রদান
নিজস্ব সংবাদদাতা :- পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন নিয়মিত এস এস সি পরীক্ষা না হওয়া, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ পদ্ধতি, বারবার চাকুরি প্রার্থীদের আদালতের শরণাপন্ন হওয়া, ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি এবং আধা-সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি দেখা গেছে। এরূপ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষক নিযুক্ত করে থাকেন। এই প্রক্রিয়া মূলত বাম আমল থেকে চালু হলেও সেই ব্যবস্থা আজও চলে আসছে কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সব আংশিক সময়ের শিক্ষকদের চাকুরীর স্থায়িত্ব নেই। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি তাদের নিয়োগ করেন এবং বিদ্যালয় ফান্ড থেকে খুব সামান্য অর্থ তাদেরকে সম্মানিক হিসেবে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে জানা গেছে একজন পার্টটাইম শিক্ষককে মাসে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত সাম্মানিক দেওয়া হয়। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে যেহেতু বিদ্যালয়গুলিতে ক্লাস হচ্ছে না তাই অনেক বিদ্যালয়ে এই সাম্মানিক টুকুও উনাদের দেওয়া হচ্ছে না। তাই বিদ্যালয় আংশিক শিক্ষকদের সংগঠন পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন তাদের কাজের স্থায়িত্বের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে আবেদন করে আসছেন। তারা বিভিন্ন জেলায় ডি আই, ডি এম, বিভিন্ন নেতা – মন্ত্রী সকলের দ্বারস্থ হয়েছেন। এমনকি কলকাতায় নবান্ন, কালীঘাট ও বিকাশ ভবনে বারবার আবেদন করেছেন কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।তাই কাজের স্থায়ীকরণের দাবিতে গত ২৮ শে জুন বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একটা আবেদন করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ ৮ ই জুলাই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক জগৎবন্ধু নাথ, সহ-সভাপতি কার্তিক মারিক এবং দেবজ্যোতি চক্রবর্তী বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের স্থায়ীকরণ সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া লিখিত আকারে জানাতে যান কিন্তু মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী না থাকায় উনার পার্সোনাল সেক্রেটারি মহাশয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়। উনি বিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবিদাওয়াগুলো মন দিয়ে শোনেন এবং স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ও সেটি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন। বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘোরিয়া বলেন,সরকার যদি আমাদের দাবিগুলো না মানেন তাহলে আগামী দিনে কলকাতার রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ।
