খাদ্যসাথী বন্ধ করে তো পে কমিশন চালু করা যায় না ,বললেন মাননীয়া মমতা ব্যার্নাজী

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদন,অয়ন বাংলা:-সোজা সাপটা কথা খোলামেলা কথা বলতে ভাল বাসেন মমতা ব্যার্নাজী ।রাজ্যের কল্যাণমূলক প্রকল্প বন্ধ করে পে কমিশনের সুপারিশ মানা সম্ভব নয়। সোমবার নবান্নে দাঁড়িয়ে একথা স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, পে কমিশন কি তার সুপারিশ জমা দিয়েছে? লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোলে দেখা যায় রাজ্যের একটি কেন্দ্র বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত জায়গায় পোস্টাল ব্যালটে হার হয়েছে তৃণমূলের। এর পরই দলীয় বৈঠকে সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভের আঁচ পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই রাজ্যের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে দেন তিনি।এদিন মমতা বলেন, ‘বেতন কমিশন রিপোর্ট দেবে তবে তো তার কার্যকর করার প্রশ্ন। বেতন কমিশন তো রিপোর্টই পেশ করল না। তারা ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে। তার পর আমরা ভাবব কতটা সামর্থে কুলায়।’মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, খাদ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে ২ টাকায় চাল পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের গরিব মানুষ। বাংলা মেয়েরা বিনামূল্যে পাচ্ছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা। বিনামূল্যে পাচ্ছে শিক্ষাশ্রী, স্বাস্ব্যসাথী, মিড-ডে-মিল, সমব্যথী, সবুজ সাথী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। মমতা বলেন, ‘সব বিনা পয়সায় চললে সরকারকে তো টাকাটা জোগাড় করতে হবে। টাকাটা জোগাড় করতে পারবে তবে তো..’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যার যা প্রাপ্য সরকার সামর্থ অনুসারে তাকে তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে। বেতন কমিশন সুপারিশ পেশ করলে সাধ্যমতো করব। আমি নিশ্চই বেতন কমিশনের সুপারিশ মানতে গিয়ে খাদ্যসাথী প্রকল্প বন্ধ করব না। গরিব লোককে ভাতে মারব না। গরিব লোককে আরও কাজ দেওয়াটাই আমার কাজ।’ গরীবদের কাজ আর দু মুঠো খাবার যেন ঠিকমত পাই সেদিকেই আগে নজর দরজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.