নিউজ ডেস্ক :- ,ভাঙ্গড়ে আক্রান্ত হলে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী । বাড়ির সামনে একদল দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হলেন ফুরফুরা শরীফের তরুণ পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। আব্বাস সিদ্দিকীর অভিযোগ, তিনি যখন স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে যান তখন খবর পেয়ে কিছু দুষ্কৃতী হামলা করতে শুরু করে। বিপদ বুঝে বাড়ির মধ্যে আশ্রয় নিতে হয় আব্বাস সিদ্দিকীকে। আব্বাস সিদ্দিকীর আরো অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে হামলা করা ছাড়াও বাড়ির বাইরে তার অনুগামীদের উপরও চড়াও হয়। আব্বাস সিদ্দিকী অবশ্য এই হামলার পিছনে ক্যানিংয়ের তৃণমূল যুব নেতা ও বিধায়ক শওকত মোল্লার হাত আছে বলে অভিযোগ করেন। যদিও শওকত মোল্লা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে, যারাই এর পিছনে থাক না কেন আব্বাস সিদ্দিকীকে আক্রমণের নিন্দায় সরব হয়েছেন বহু মুসলিম শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট লেখক ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, আবারও ভাঙড়ে ফরুফুরা শরিফের পীরজাদার উপরে হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এছাড়া এস ডি পি আই রাজ্য সভাপতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। রাজনৈতিক মদদপুষ্ট দামাল ছেলেদের আইনের আওতায় কঠোর সাজা দেওয়া হোক বলে দাবি জানান ফারুক আহমেদ। অন্যদিকে, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শওকত মোল্লার এক অনুগামী বলেন, ভাঙড় কখনই শওকত মোল্লার খাসতালুক নয় সবাই জানে। তার দাবি, বিভিন্ন মিটিং মিছিলে আব্বাস সিদ্দিকী খুব নগ্নভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাসক দলের নেতাদের আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ভাঙড়ের মানুষদের মধ্যে।
তবে আব্বাস সিদ্দিকী ইদানিং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে চড়া সুরে সমালোচনা করলেও আক্রমণের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না বলে মুসলিম মহলের অনেকেই মনে করছেন। সঙ্গত কারণেই এই ঘটনার নিন্দা করছেন ।
এই ঘটনা নিয়ে অনেকেই তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ।