ওয়েব ডেস্ক :-রাজ্যপাল যে আর এস এস লোক সেটা প্রমান দিলেন পার্থ চ্যাটার্জী । প্রতিদিন রাজ্যের ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আক্রমণাত্মক হতে যেন মুখিয়ে থাকেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এ নিয়ে রাজ্যপালকে ‘মাথার চিকিৎসা’ করানোর পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগেও রাজ্যপাল-আরএসএসের আঁতাতের অভিযোগ তুলেছিল। আর এবার একেবাের ‘তথ্য-প্রমাণ’ নিয়ে আসরে নামল রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যপাল নিজেই আরএসএস যোগের প্রমাণ দিলেন নিজের টুইটেই।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং রাজ্যপালের একটি ট্যুইটের স্ক্রিনশট নিয়ে একটি ট্যুইট করেন। সেই ট্যুইটে দেখা গিয়েছে, রাজ্যপালকে পাঠানো একটি চিঠি। চিঠিটি রাজ্যপাল ধনখড়কে পাঠিয়েছেন ‘আরএসএস সুধীর’ বলে একজন।
সেই চিঠির বিষয়বস্তু হল, সুরজিৎ করপুরকায়স্থ ও রিনা মিত্রর মতো অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসদের রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা উপদেষ্টা করার বিষয়টি। মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে করা ট্যুইটে রাজ্যপাল প্রশ্ন তোলেন, ওই দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস-কে দায়িত্ব দিয়ে রাজ্যের আদৌ কি কোনও লাভ হল? তবে, সেই চিঠির স্ক্রিনশটে দেখা যায়, চিঠিটি আরএসএসের কোনও সদস্য তাঁকে পাঠিয়েছেন।
প্রমাণ পেশ করে ট্যুইটে পার্থ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘যে কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল স্থানীয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকবেন, সেটাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বিজেপির জমানায় রাজ্যপাল সম্পূর্ণভাবে ও সরাসরি আরএসএসের নির্দেশে কাজ করেন।’ এরপর রাজ্যপালের বিষয়ে পার্থ বাবুকে প্রশ্ন করা হলে ফের তিনি বলেন, ‘উনি (রাজ্যপাল) আগে নিজের মাথা ঠিক করুন। মাথার চিকিৎসা করান। যার মাথারই ঠিক নেই, তার কথার উত্তর দেওয়ার কোনও মানে হয় না।’
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল এদিনও অভিযোগ করেছেন বাংলায় জঙ্গি ডেরা বাড়ছে। আলকায়দার সাত জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে। যদিও অভিযুক্তরা আদতে কি জঙ্গি না নির্দোষ সেটা এখনই প্রমাণিত নয় তদন্ত চলছে। কিছুদিন আগে নদীয়ার বাজি কারখানার বিস্ফোরণে হিরোশিমার কথা মনে পড়েছিল রাজ্যপালের। যা নেটিজেনদের হাসির খোরাক হয়েছিল।
এদিন বেলেঘাটায় ক্লাবে বোমা বিস্ফোরণ নিয়েও রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বলে মত রাজ্যপালের। তিনি সরাসরি বলেছেন, আল কায়দার মতো জঙ্গিরাও পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ ডেরা বলে মনে করছে। যা রাজ্যের জন্যে একেবারেই ভাল লক্ষণ নয়। যা রাজ্যপালের নয় এটা আরএসএসের বক্তব্য বলে অভিযোগ তুলে বিঁধতে শুরু করল তৃণমূল।