নিজস্ব সংবাদদাতা :- চলে গেলেন *বিশ্বকোষ পরিষদের কর্ণধার পার্থ সেনগুপ্ত*। লেখক ও সমাজকর্মী পার্থ বাবুর সঙ্গে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের একটা আত্মিক সম্পর্ক ছিল। নিজহাতে গড়া বিশ্বকোষ পরিষদের মাধ্যমে মুসলিম মনীষদের নিয়ে বহু গবেষণাধর্মী কাজ করেছেন। প্রকাশ করেছেন মনিষীদের নিয়ে বহু গ্রন্থ।
আমি পার্থ সেনগুপ্তের মাধ্যমেই চিনেছিলাম সাহিত্যিক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর আমার এলাকা হাড়োয়ার জন্মভিটা। তাঁর কাছেই প্রথম শুনেছিলাম দেগঙ্গার শিক্ষানুরাগী ছাওলাতুন্নেছার দানের ইতিবৃত্ত। স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা বীরত্বের ইতিহাস, দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসিন শিক্ষা আন্দোলন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের নারী শিক্ষা আন্দোলনের অবদান নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে আজীবন তিনি চেষ্টা করে গেছেন।
পার্থ বাবুর এই মহত্বপূর্ণ কাজের জন্য আমাদের ফ্রন্টপেজ অ্যাকাডেমি *ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি সম্মান* ও প্রতিষ্ঠানের *ফ্রন্টপেজ লাইফ টাইম এ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড* পৃথক দুটি সম্মানে ভূষিত করে।
(মুহাম্মদ কামরুজ্জামান
রাজ্য সম্পাদক
সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন)
আমরা অত্যন্ত মর্মাহত যে, পার্থদা অর্থাৎ পার্থ সেনগুপ্ত আর ইহজগতে নেই। আজ ভোর তিনটেয় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করেছেন। তাঁর মত একজন সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী, সংখ্যালঘু সমাজের প্রকৃতবন্ধু ও পিছিয়ে-পড়া এবং বঞ্চিত মানুষের দরদী অভিভাবক আজ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন।
পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের তিনি ছিলেন একজন বরেণ্য সমাজকর্মী তথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল প্রতীক।
সবসময় জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে এই দেশ তথা রাজ্যের গুণী এবং সংস্কৃতিবান মানুষদেরকে জাগিয়ে তোলার এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একজন অতন্দ্র প্রহরী।
বিশ্বকোষ পরিষদ-এর মাধ্যমে সমাজের উপেক্ষিত ও হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিত্ব ও কর্মকান্ডকে মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি ছিলেন নিরলস।
আমরা তাঁর প্রয়াণে ব্যথাহত। তাঁর শোকাহত পরিবার ও তাঁর গুণমুগ্ধদের সাথে সমব্যথী।
শোক ভারাক্রান্ত হৃদয়ে,
(মুহাম্মদ শাহ আলম
ডাইরেক্টর,
আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট)