চলে গলেন কবি-সম্পাদক মহঃ গফুর সেখ
জয়নূল আবেদীনঃ চলে গেলেন মুর্শিদাবাদের বিশিষ্ট কবি এবং ‘কিংবদন্তি’ লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক মহঃ গফুর সেখ। গতকাল অপরাহ্নে তিনি ইন্তেকাল করেন। আজ বেলা দশটায় তাঁর নামাজে জানাজা এবং দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
গফুর সেখ রঘুনাথগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা। তবে তাঁর পিতা ছিলেন ছিলেন ফুডসাপ্লাই ইন্সপেক্টর। রঘুনাথগঞ্জে পোস্টিং সূত্রে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। আদতে তিনি ছিলেন বর্ধমানের কেতুগ্রাম এলাকার মানুষ। মহঃ গফুর সেখের ছাত্র জীবন এবং কর্মজীবন কাটে এই রঘুনাথগঞ্জ শহরেই।ব্যবসায়ী গফুর সেখ ব্যবসার ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে সাহিত্যের চর্চা করতেন। কবিতা লিখতেন।প্রবন্ধ লিখতেন।সম্পাদনা করতেন ‘কিংবদন্তি’ নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন। জঙ্গিপুর বইমেলার তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক। প্রতি বইমেলায় তাঁর পত্রিকার উদ্যোগে সাহিত্য বাসর বসতো। মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের বহু কবিসাহিত্যিককে তিনি তাতে আমন্ত্রণ জানাতেন।তাঁর ডাকে ব্যাপক সাড়া পড়তো সাহিত্যপ্রমীদের।
তাঁর রঘুনাথগঞ্জ স্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাহিত্য আড্ডাও বসতো। সেটি হয়ে উঠেছিল কবিসাহিত্যিকদের একটি ঠেক।সরল এবং উদার হৃদয় মানুষটি ছিলেন কবি সাহিত্যিকদের প্রেরণা। তরুণ সাংবাদিক সবুজ বিশ্বাস বলেন, গফুর দার লেখা দেখেই আমার কবিতা লেখার। বিশিষ্ট লেখক কাজী আমিনুল ইসলাম তাঁকে ‘সাহিত্যপ্রাণ’ বলে অভিহিত করেন।তিনি এই সময় বাইরে থাকায় শেষকৃত্বে অংশ করা সম্ভব হলো না বলে গভীর দূঃখ প্রকাশ করেন।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট কবি তৈমুর খান, কবি তাপসী ভট্টাচার্য , বিশিষ্ট গল্পকার কুনালকান্তি দে,নুরুল ইসলাম, মতিউর রহমান,সানারুল মোমিন , সৈয়দ শিশ মহম্মদ, আনিসুর রহমান এবং বহু কবি-সাহিত্যিক।ফেসবুকে তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও,ত্রিপুরা, বাংলাদেশ এমনকি ইন্দোনেশিয়া থেকেও বহু সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মহঃ গফুর সেখ তাঁর অগ্রজ ভাই, স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যা,নাতি- নাতনী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল তেষট্টি বছর।